ঘুরে দাঁড়ানোই লক্ষ্য অসিদের
অভিষেক ২০১২ সালে। অথচ একদিনের ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পেতে প্রায় পাঁচটা বছর লেগে গিয়েছে ম্যাথু ওয়েডের। তার চেয়েও বড় কথা, চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অপরাজিত সেঞ্চুিরর পর, ব্যাটে রানের খরা। সেঞ্চুরির পরের ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৩৫ ছাড়া বাকি কোনও ম্যাচে দশের গণ্ডি পেরোতে পারেননি। সিরিজে দুটি ম্যাচে পিটার হ্যান্ডসকম্বকে উইকেটে পিছনে দাঁড় করাতে বাধ্য হয়েছে অসি টিম ম্যানেজমেন্ট। এই পরিস্থিতিতে যেন–তেন প্রকারনে তাঁকে যে রান করতে হবে, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন ওয়েড। তাই তো ম্যাচের সকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘আমার ব্যাটিং ফর্ম মোটেও ভাল যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে কী হয়ে গিয়েছে সেটা নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চাই না। নির্বাচকরাও জানিয়ে দিয়েছেন, টিম থাকতে হলে রান করতে হবে।’
সিরিজে প্রত্যাবর্তনের লড়াইয়ে অবশ্য কোহলি মন্ত্রেই উদ্বুদ্ধ হচ্ছে অসি শিবির। ভারত অধিনায়ক তাঁদের অপছন্দের তালিকায় যতই ওপরে থাকুন না কেন, মাঠে ও মাঠের বাইরে কোহলির লড়াইটাই যেন এখন স্মিথদের কাছে অনুপ্রেরনা। ২০১৬ সালে কোহলিদের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রসঙ্গ টেনে দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অসি পেসার কেন রিচার্ডসন বলেছেন, ‘সেবার একদিনের সিরিজে ৪–০ পিছিয়ে পড়ার পর কোহলি সতীর্থদের বলেছিল, সম্মানরক্ষার লড়াইয়ে নেমে সিরিজের বাকি ম্যাচ আমাদের জিততে হবে। এবং টি–২০ সিরিজ শেষে ওরা কিন্তু ৪–৪ করে দেশে ফিরেছিল। সিরিজে এখন আমরা ১–৩ পিছিয়ে। শেষ একদিনের ম্যাচের পর, তিনটে টি–২০ জিততে পারলে মনে করি সিরিজটা ভালভাবেই শেষ করতে পারব। এখন সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’