ফাঁকা মাঠে গোল দিলেন মেসি
কার্লোস পুয়োল বার্সেলোনার জার্সিতে ৫৯৩তম ম্যাচ খেলেছিলেন ৩৬ বছর বয়সে। বার্সেলোনার হয়ে এত দিন তৃতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ডের মালিক লিওনেল মেসি টপকে গেলেন মাত্র ৩০ বছর বয়সে। লাস পালমাসের বিপক্ষে বার্সার ৩-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচ দিয়ে কাতালান ক্লাবটির জার্সিতে ৫৯৪তম ম্যাচ খেলে ফেললেন। গোলও করেছেন দুটি। কিন্তু মেসির এ জোড়া গোল আর পুয়োলকে টপকে যাওয়ার কীর্তি গ্যালারিতে বসে দেখার কেউ ছিল না! বার্সার অন্য গোলটিও মেসির দুর্দান্ত কর্নার থেকে।
দিনভর অনেক নাটকের পর লাস পালমাসের বিপক্ষে ‘রুদ্ধদ্বার ম্যাচ’ খেলেছে বার্সা। স্পেন থেকে স্বাধীনতার প্রশ্নে কাতালোনিয়ায় আজ গণভোট। এ নিয়ে রক্তারক্তি চলছে রাজ্যটির রাজধানী বার্সেলোনায়। সাড়ে চার শর বেশি আহত হয়েছে। এ কারণে লাস পালমাসের বিপক্ষে ম্যাচটি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল বার্সা। স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন তা মানেনি। শেষ পর্যন্ত দর্শক ছাড়াই খেলেছে বার্সা। লবণ আর মসলা ছাড়াই মাংসের ভুনা যেন!
মেসির জোড়া গোলের দুটিই দেখতে হলো দারুণ। ছেলেখেলা করলেন যেন গোলরক্ষককে নিয়ে। কিন্তু গোল করে মেসি নিজেও উদ্যাপনের তেমন আগ্রহ পেলেন বলে মনে হলো না।
এমনিতে ম্যাচের আগে বেশ তোপটোপ ঝেড়ে উত্তেজনা জমানোর চেষ্টা করেছিল লাস পালমাস। ঘোষণা দিয়েছিল, ম্যাচটি তারা স্পেনের জাতীয় পতাকা পরে খেলবে। স্পেন বনাম কাতালোনিয়ার জাতীয়তাবাদের লড়াই! প্রথমার্ধ গোলশূন্যও গেল।
বিরতির পর ৪৯ মিনিটে সার্জিও বুসকেটসের গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। মেসির কর্নার থেকে হেড করে। এরপর ৭০ ও ৭৭ মিনিটে পালমাস গোলরক্ষককে নিয়ে ছেলেখেলা করে দুটি গোল করেন মেসি।
পিকে, আলবা, মাচেরানো আর রর্বাতোদের জমাট রক্ষণভাগের জন্য পালমাস সেভাবে আক্রমণ করতে পারেনি। আর তাতে গোল না হওয়ায় দারুণ একটি রেকর্ডও গড়ল বার্সা। লা লিগার ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে এ নিয়ে ১০০০ ম্যাচে কোনো গোল হজম না করার রেকর্ড গড়ল কাতালান ক্লাবটি। দ্বিতীয় সেরা রিয়াল মাদ্রিদ ৯২৯ ম্যাচে গোল খায়নি।
এ নিয়ে লিগে টানা ৭ ম্যাচ জিতল বার্সা। লিগে মেসির গোল হলো ১১টি। ১০ পয়েন্ট পেছনে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ রাতে খেলতে নামবে এসপানিওলের বিপক্ষে। কাতালোনিয়ার আরেক ক্লাব রাজা রিয়ালকে পাল্টা জবাব দিতে চাইবে হয়তো মাঠের খেলায়। যদিও মুখোমুখি লড়াইয়ে রিয়ালের মাঠে তেমন সুবিধা করতে পারে না তারা।