সু চির মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক
সু চির মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বৈঠক
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মার সামনে
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সাথে আলোচনার জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে'র সাথে বৈঠক করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি হচ্ছে।
সম্প্রতি শেষ হওয়া জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ থেকে এমন একটা ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল যে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মধ্যে একটা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে।
এর আগে মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচির একজন বিশেষ দূতের সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক হয়।
কিন্তু সেখানে ফলপ্রসূ কোন আলোচনা হয় নি। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিয়ানমারের সাথে তেমন একটা সুবিধা জনক অবস্থানে যেতে পারেনি বাংলাদেশ।
মিয়ানমারের সাথে প্রথমবারের মত মন্ত্রী পর্যায়ের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা ইস্যুতে কতটা কী অবস্থান নেবে?
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমশের মবিন চৌধুরি বলছিলেন দুইটি বিষয়কে বাংলাদেশের শক্তভাবে তুলে ধরতে হবে এই বৈঠকে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে'র সাথে বৈঠক করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি হচ্ছে।ছবির কপিরাইটবাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির দপ্তরের মন্ত্রী কিউ টিন্ট সোয়ে'র সাথে বৈঠক করছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বৈঠকটি হচ্ছে।
একটি হল রাখাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ, অপরটি হল তাদের সম্মানের সাথে মিয়ানমারে ফিরত পাঠানো।
গত ২৫ শে অগাস্টের পর নতুন করে যে কয়েক লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার পর দেশে এবং আন্তর্জাতিক ভাবে মিয়ানমার সমালোচনার মুখে পরে।
শরণার্থীদের নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংস্থা রামরুর সমন্বয়ক সি আর আবরার বলছিলেন আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানোর জন্য দ্বিপাক্ষিক এই আলোচনার বন্দোবস্ত মিয়ানমারের জন্য একটা কৌশল হতে পারে।
রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এর আগে কফি আনান কমিশন গঠন করা হয়।
তবে রোহিঙ্গারা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেটা উল্লেখ করে সেখানে কিছু সুপারিশ করা ছিল। সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মি. চৌধুরি বলছিলেন এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সেই কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে দৃঢ় অবস্থান নিতে হবে।
একই সাথে জাতিসংঘকেও অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এই আলোচনার মধ্যে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এরই মধ্যে জানিয়ে দিয়েছে যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।