কিমের জারিজুরি শেষ করবে ভয়ঙ্কর ‘ব্ল্যাকআউট’ বোমা
: ক্রমাগত পরমাণু হামলার হুমকি। একের পর এক মিসাইল উৎক্ষেপণ। এভাবেই দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকাকে প্রায় নাজেহাল করে রেখেছেন উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনেতা কিম জং উন। খামখেয়ালি কিমের কার্যকলাপে উদ্বিগ্ন জাপানও। এমনই পরিস্থিতে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে সিওল। পরমাণু মিসাইলের প্রয়োজন নেই। দরকার হবে না সেনা অভিযানেরও। শুধুমাত্র একটি ‘ব্ল্যাকআউট’ বোমার আঘাতেই কিমের অস্ত্র ভাণ্ডার ধ্বংস করে দিতে সক্ষম তারা।
তা কী এই ‘ব্ল্যাকআউট বম্ব’? দক্ষিণ কোরিয়ার এক শীর্ষ সামরিক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে বোমাটি বানিয়ে ফেলা হয়েছে। কিম আক্রমণ করার চেষ্টা করলেই তা ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, ওই বোমার বিস্ফোরণে বিকল হয়ে যাবে সমস্ত বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি। এর আঘাতে অন্ধকারে ডুবে যাবে কিমের দেশ। বিকল হয়ে যাবে পারমাণবিক মিসাইল ছোড়ার সমস্ত কম্পিউটর। ফলে কোনওভাবেই হামলা চালাতে পারবে না কিমের সেনা। লড়াইয়ের আগেই হার স্বীকার করতে হবে তাদের। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, বোমাটির বিস্ফোরণ হলে তা থেকে তৈরি হবে এক ধরনের গ্যাস। ওই গ্যাসে থাকা অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে থাকবে গ্রাফাইট, যা বিদ্যুতের তারে বা যন্ত্রপাতিতে শর্ট সার্কিট ঘটিয়ে তা বিকল করে দেবে। তবে কোনও মানুষের মৃত্যু ঘটাবে না ওই গ্যাস। ফলে জনবহুল এলাকাতেও ব্যাবহার করা যাবে এই বোমা।
উল্লেখ্য, আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ক্রমশ যুদ্ধের পথে হাঁটছে উত্তর কোরিয়া। ইতিমধ্যে মার্কিন ভূখণ্ডে পরমাণু হামলার হুমকিও দিয়েছেন কিম। শুধু তাই নয় জাপানের উপর দিয়ে একাধিক মিসাইল ছুড়ে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলেছে কমিউনিস্ট দেশটি। একইসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দমনপীড়নের অভিযোগ তুলে তাঁকে গুন্ডা বা গ্যাংস্টার বলেও তীব্র আক্রমণ করেছেন কিম। আমেরিকার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াও এখন পিয়ং ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ কিমের। আমেরিকা-দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে ৬৪ বছরের পুরনো দ্বিপাক্ষিক সামরিক চুক্তির সমালোচনা করে উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক বলেছেন, ১৯৫৩-তে স্বাক্ষরিত ওই চুক্তি আসলে সংঘর্ষের পরোয়ানা। ওই চুক্তি মোতাবেক আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথভাবে সেনা মহড়া চালাতে পারবে। সিওলে সেনাঘাঁটি তৈরি করতে পারবে পেন্টাগন। ওই চুক্তি মোতাবেকই এই মুহূর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলের খুব কাছেই টহল দিচ্ছে মার্কিন রণতরী ইউএসএস রোনাল্ড রেগান। অন্তত ৮০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে টহল দিচ্ছে রণতরীটি