জানেন, কেন যুব বিশ্বকাপের শুরুতে থাকছে না কোনও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান?
রাত পোহালেই যুব বিশ্বকাপ। ঢাকে কাঠি পড়বে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপের। কিন্তু তার আগেই জোর ধাক্কা খেল আয়োজক দেশ। ফিফার তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হল টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কোনওরকম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করার প্রয়োজন নেই। এখানে ফুটবলটাই আসল।
আইপিএল হোক কিংবা আইএসএল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতেই অভ্যস্ত এদেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। সেই মোতাবেক ফিফার কাছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কথা জানানো হলে পত্রপাঠ না বলে দেয় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। জানিয়ে দেয়, ফিফা সভাপতি জিয়ানি ইনফ্যান্টিনোও উদ্বোধনের দিন আসছেন না। তিনি আসবেন ২৮ অক্টোবর বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন। আর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে মূল বিষয়টাই ফুটবল। তাই আড়ম্বরকে পিছনে ঠেলে যেন ফুটবলের দিকেই নজর দেয় আয়োজক দেশ।
এই প্রসঙ্গে টুর্নামেন্টের ডিরেক্টর জেভিয়ার সেপ্পি বলেন, ‘অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপে ফুটবলটাই আসল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি নয়। ভারত সরকার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না। আগের টুর্নামেন্টগুলি এবং খেলার দিক থেকে দেখলে আমাদের মনোসংযোগটা ফুটবল এবং খেলোয়াড়দের দিকেই হওয়া উচিত। পাশাপাশি আমাদের মনে হয় এ ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য অতিরিক্ত অর্থ খরচ না করে সেটা দেশের ফুটবলের উন্নতির জন্য এবং তৃণমূল স্তরে খুদে ফুটবলারদের উপযুক্ত পরিকাঠামো প্রদানের জন্য ব্যবহার করা উচিত। কারণ এআইএফএফ-ও চায় ভবিষ্যতে ভারত ফুটবলে উন্নতি করুক।’
যদিও আগামিকাল ৬ অক্টোবর দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে ভারত বনাম ইউএসএ-র ম্যাচে উপস্থিত থাকবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ম্যাচ শুরুর আগে ভাষণও দেবেন। আর ভারতের মাটিতে প্রথম ফিফা বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করতে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই শুক্রবার জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকবেন ভারতের সেরা পাঁচ অধিনায়কও। সেই তালিকায় চুনী গোস্বামী থেকে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তনদের নামও রয়েছে। তবে এখনও স্টেডিয়াম পুরোপুরি ভরবে কিনা সেই নিয়ে সন্দিহান উদ্যোক্তারা।