বিপদ বাড়ল নওয়াজ শরিফের
বিপদ বাড়ল নওয়াজ শরিফের
দুর্নীতি মামলায় নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে শুনানি আপাতত স্থগিত। আইনত তাঁকে অপরাধী বলে গণ্য করা যায় কিনা তা আগামী ৯ অক্টোবর স্থির হবে। জানিয়ে দিল ইসলামাবাদের বিশেষ জবাবদিহি আদালত। তবে তাঁর পুত্র, কন্যা ও জামাতার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) দায়ের করা তিনটি দুর্নীতি মামলায় তাঁদেরও নাম রয়েছে। সোমবার নওয়াজ শরিফকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা ছিল। সেইমতো সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে আদালতে পৌঁছন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। আদালত চত্বরে প্রায় ২০০০ ফৌজদারি পুলিস, সশস্ত্রবাহিনী ও কনস্টেবল মোতায়েন ছিল। শুনানি শুরু হলে তাঁর দুই পুত্র হাসান ও হুসেন নওয়াজ, মেয়ে মরিয়ম ও জামাতা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন সফদরের খোঁজ করেন বিচারপতি মহম্মদ বশির। জবাবে নওয়াজ শরিফের আইনজীবী খোয়াজা হারিস জানান, নওয়াজ পত্নী কুলসুম নওয়াজ শরিফ গুরুতর অসুস্থ। লন্ডনে তাঁর দেখভাল করছেন ছেলেমেয়েরা। জামাইও সেখানে। তাই আদালতে হাজিরা দিতে আসতে পারেননি। সেই অজুহাত মেনে নিতে রাজি হননি এনএবি–র আইনজীবী। তিনি বলেন, ডেকে পাঠানো সত্ত্বেও এর আগে তিনবার আদালতে হাজিরা দেননি তাঁরা। যদিও একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল তাঁদের। জামিন যোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়েছিল। কোনোকিছুই কাজে আসেনি। তাই এবার জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হোক। তাঁর দাবি মেনে নেয় আদালত। আগামী ৯ অক্টোবর আদালতের শুনানি চলাকালীন উপস্থিত থাকতে হবে তাঁদের। সেখানে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে তাঁদের নিয়েও ফয়সালা হবে। এর আগে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন পদচ্যুত নওয়াজ শরিফ। সেবার ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আদালত তাতে সায় দেয়নি। গত বছর পানামা গেট দুর্নীতিতে নাম জড়ায় নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের। সেই মামলার শুনানিতে এ বছর ২৮ জুলাই তাঁকে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদচ্যুত করে পাক সুপ্রিম কোর্ট। পুত্র, কন্যা, জামাতা এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও টাকা নয়ছয়ের মামলা দায়ের করতে নির্দেশ দেয় এনএবি–কে। পাকিস্তানের ৭০ বছরের ইতিহাসে নওয়াজ শরিফ পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যাঁকে পদচ্যুত করা হয়েছে।