Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » লাস ভেগাস হামলা: আততায়ী ধনী রিয়েল-এস্টেট বিনিয়োগকারী ছিল, দাবি ভাইয়ের





লাস ভেগাস হামলা: আততায়ী ধনী রিয়েল-এস্টেট বিনিয়োগকারী ছিল, দাবি ভাইয়ের
মেসকিট: লাস ভেগাসের ক্যাসিনোর হামলার আততায়ী স্টিফেন প্যাডক নেভাডায় একটি স্বচ্ছল আবাসনে থাকত। যেখানে গল্ফ, টেনিস সহ বিভিন্ন পরিষেবা ছিল। জানা গিয়েছে, স্টিফেন একজন ধনী রিয়েল-এস্টেট বিনিয়োগকারী ছিল। লাস ভেগাসে উচ্চমূল্যের ভিডিও পোকার খেলতে ভালবাসত। সম্প্রতি, নিজের নবতিপর মাকে একটি ওয়াকিং স্টিকও সে পাঠিয়েছিল।


প্যাডকের অতীত দেখে বোঝার কোনও উপায় নেই যে, সে এধরনের কাজ করতে পারে। এমনকী, রবিবার রাতে মান্ডালে বে হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনোর ৩২ তলায় ১৭টি বন্দুক নিয়ে পৌঁছে কেন সে আউটডোর কনসার্টে এলোপাথারি গুলিবর্ষণ করল, তার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে।

আইনরক্ষক থেকে শুরু করে আততায়ীর পরিবার—সকলেই এই হত্যালীলার নেপথ্যে মোটিভ বা উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান। এক সময়ে অ্যাকাউন্টেন্টের কাজ করা এবং অতীতের কোনও অপরাধ-রেকর্ড না থাকা ব্যক্তি কী করে এত মারাত্মক হামলা চালাল, তা ভাবাচ্ছে গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দাদের অনুমান, অত্যন্ত পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এই হামলার প্রস্তুতি করেছিল স্টিফেন। জানা গিয়েছে, সে অন্তত ১০টি স্যুটকেস নিয়ে হোটেলে এসেছিল। অনেকের ধারনা, হোটেলে প্যাডক অত্যন্ত পরিচিত মুখ ছিল। সকলেই জানত, স্টিফেন বড় জুয়াড়ি। ফলে, তাকে দেখে কারও মনে কোনও সন্দেহ হয়নি।

ভাই এরিক প্যাডক জানান, স্টিফেন কোনওদিন কোনও প্রকারের সঙ্গ, ধর্ম বা রাজনীতির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এসবকে ও পাত্তাই দিত না। তিনি বলেন, ওর এত টাকা ছিল। ও সারাক্ষণ ক্রুজে চড়ে বেড়াত আর জুয়া খেলত। এরিক জানান, তার ভাই একজন কোটিপতি ছিল। স্বীকার করেন, দুজনে একত্রে অনেক সম্পত্তি করেছেন। বহু ব্যবসায়িক লেনদেন হয়েছে।

একইসঙ্গে এরিক এ-ও জানান, গত ৬ মাসে ভাইয়ের সঙ্গে তাঁর তেমন কথা হয়নি। তবে, হারিকেন ইরমার পর স্টিফেন তাঁকে মেসেজ করে খবর নেয়। আবার দুসপ্তাহ আগে, যখন সে জানতে পারে, মা হাঁটতে পারছে না, সে সঙ্গে সঙ্গে একটা ওয়াকার পাঠিয়ে দেয় বলেও জানান এরিক।

তবে, পুলিশ অন্য একটি তথ্য জানতে পেরেছে। তা হল, স্টিফেনের কোনও অপরাধ-রেকর্ড না থাকলেও, তার বাবা কুখ্যাত ব্যাঙ্ক-ডাকাত ছিল। এই কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন এরিক।

 স্টিফেন প্যাডক। ৬৪ বছরের শেতাঙ্গ বৃদ্ধ। এই বয়সেই মাত্র নয় সেকেন্ডেই লাশের স্তূপ জমিয়ে দিল লাস ভেগাসে।  হয়ে উঠল আমেরিকার বন্দুকবাজের হামলার ইতিহাসে ‘সব চেয়ে ভয়ঙ্কর’ পর্বের কাণ্ডারী। আইসিস দাবি করেছিল, সম্প্রতি প্যাডক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিল। যদিও তার প্রমাণ পায়নি পুলিস। তবে কেন এই বয়সে এসে অবাধ হত্যালীলা চালাল সে? হিসাবরক্ষকের পেশা কেনই বা ছেড়ে দিল প্যাডক?  কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নাকি সত্যিই কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল সে?  ইতিমধ্যেই পুলিসের হাতে এসেছে বেশ কিছু তথ্য, যা রোমহর্ষকও বটে।

১.  স্টিফেন প্যাডক নেভাডার মেসকুইটে রিটায়ারমেন্ট কমিউনিটিতে বাস করত।
২. প্যাডকের সঙ্গেই থাকত ৬২ বছরের প্রৌঢ়া ম্যারিলো ড্যানলি।
৩. প্যাডক একটা সময়ে অ্যাকাউন্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করত।
৪. ব্যক্তিগত বিমানচালনার অভিজ্ঞতা ছিল তার। শিকারের লাইসেন্সপ্রাপ্তও ছিল সে।
৫. প্যাডকের বিরুদ্ধে পুলিসের খাতায় কোনও অভিযোগ নেই।
৬. পরিবারের দাবি, প্যাডকের কোনও মানসিক রোগ ছিল না
৭. প্যাডককে কোনও ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতেও দেখেননি তার আত্মীয়রা
৮. পরিবারের দাবি, স্টিফেন বরাবরই শান্ত স্বভাবের
৯. স্টিফেনের বাবা একজন ডাকাত ছিল
১০. পুলিসের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম ছিল স্টিফেনের বাবার 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post