একটি টুকরো পেঁয়াজ ফোস্কার স্থানে লাগিয়ে দিন
ত্বকে ফোস্কা পড়া রোধে
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যবস্থার অনেক উন্নতি সাধন হয়েছে। একবার ভাবুন তো যখন এত উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা ছিল না, তখন মানুষ কি করত? প্রাকৃতিক উপাদান ছিল তখনকার সময়ের একমাত্র ওষুধ। ঘরে থাকা রান্নার উপাদান দিয়ে তারা সারিয়ে ফেলতে নানান রোগ।
রান্নার অন্যতম একটি উপাদান হল পেঁয়াজ। পেঁয়াজ ছাড়া রান্না প্রায় অসম্ভব। আপনি কি জানেন রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করার পাশাপাশি ছোটখাটো অনেক রোগ সারিয়ে তুলে এই পেঁয়াজ?
১। ত্বকে ফোস্কা পড়া রোধে
অনেক সময় রান্না করতে যাওয়ার সময় তেল অথবা গরম পানি হাতে পড়ে ফোস্কা পড়ে যেতে পারে। একটি টুকরো পেঁয়াজ ফোস্কার স্থানে লাগিয়ে দিন। দেখবেন আর জ্বালাপোড়া সাথে সাথে কমে গেছে। পেঁয়াজের অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরি উপাদান ছোট খাটো পোড়া ভাল করে দেয়।
২। পোকার কামড় দূর করতে
ত্বকে পোকার কামড়ের জ্বালাপোড়া, চুলকানি দূর করতে পেঁয়াজ বেশ কার্যকরী। পোকা কামড়ের স্থানে পেঁয়াজের টুকরো ঘষে লাগান।
৩। পিরিয়ডের ব্যথা রোধে
মাসিক শুরু হওয়ার কিছু দিন আগ থেকে প্রতিদিনকার ডায়েটে একটি করে কাঁচা পেঁয়াজ রাখুন। এটি মাসিকের পেট ব্যথা অনেক কমিয়ে দেবে।
৪। হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে
পেঁয়াজ উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয় এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। এর সালফার, ভিটামিন বি৬, ক্রৌমিয়াম উপাদান যা বিভিন্ন হৃদযন্ত্র সংক্রান্ত রোগ প্রতিরোধ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্টোক প্রতিরোধ করে।
৫। ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে পেঁয়াজ কিছু ক্যান্সার যেমন ওরাল ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন ১/২ কাপের মত পেঁয়াজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
৬। জ্বর এবং বমি বমি ভাব দূর করতে
আপনরা যদি অল্প জ্বর থাকে তবে রাতে শোয়ার সময় পায়ে মোজা পরে মোজার ভেতর এক টুকরো পেঁয়াজ ঢুকিয়ে রাখুন। এইভাবে ঘুমান। পরেরদিন দেখবেন জ্বর অনেক খানি কমে গেছে। এছাড়া বমি বমি লাগলে ২ চা চামচ পেঁয়াজের রস খেয়ে নিন। দেখবেন বমি বমি ভাব দূর হয়ে গেছে।
৭। ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে
পেঁয়াজে থাকা উপাদান ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে। ৬ থেকে ৭ গ্রাম পেঁয়াজ পানিতে দিয়ে জ্বাল দিন। এটি পান করুন।