সৌদি রাজার রাশিয়া সফর: ১৫০০ সফর সঙ্গী ও সোনার সিঁড়ি প্রসঙ্গ
সৌদির রাজা সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ রাশিয়া সফর করছেন। কিন্তু সমালোচনা যেন তার পিছু ছাড়ছে না। রাজা যে সঙ্গী হিসেবে দেড় হাজার ব্যক্তিকে নিয়ে যাচ্ছেন তা হয়তো অনেকেরই জানা ছিল। কিন্তু তিনি যে বিমান থেকে নামার জন্য সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়িও সঙ্গে নিয়ে গেছেন তা অনেকেরই জানা ছিল না। সিঁড়িটি হঠাৎ নষ্ট হয়ে না গেলে হয়তো সেদিকে কারো নজরই পড়তো না।
ব্লুমবার্গ মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, গত বুধবার রাতে চার দিনের সফরে রাশিয়ায় পা রাখেন সৌদি রাজা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। উড়োজাহাজ থেকে নামার সময় তিনি ব্যবহার করেন সোনার তৈরি চলন্ত সিঁড়ি। কিন্তু হুট করেই নষ্ট হয়ে যায় সেই সিঁড়ি।
সৌদি রাজার সফরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, সফর উপলক্ষে প্রায় ৮০০ কেজি খাবার আনা হয়েছে রাশিয়ায়। রাজার সফরসঙ্গীরা কিছু ব্যক্তিগত কর্মচারীও নিয়ে এসেছেন। যে হোটেলে রাজা আছেন, সেখানকার কর্মচারীদের পরিবর্তে কিছু ক্ষেত্রে এসব রাজকীয় কর্মচারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কারণ রাজকীয় কর্মচারীরা জানেন, কীভাবে এসব সফরসঙ্গীর পছন্দের খাবার বানাতে হয়। রাজা সালমান যে হোটেলে আছেন, সেখানে তিনি নিজস্ব আসবাব ব্যবহার করছেন। এগুলো সৌদি আরব থেকে নিয়ে এসেছেন তিনি।
রাশিয়ায় দুটি হোটেল বরাদ্দ নিয়েছে সৌদি সরকার। একটি হলো দ্য রিটজ কার্লটন ও দ্য ফোর সিজনস। বাদশাহ ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সুবিধার জন্য ওই দুই হোটেলে আগে থেকে কক্ষ ভাড়া নেওয়া কিছু ব্যক্তিকেও বের করে দেওয়া হয়। কারণ অপরিচিত মানুষ থাকলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না সফরসঙ্গীরা।
কয়েকজন সমালোচনাকারী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ইসলামি সংস্কৃতির ধারক-বাহক হিসেবে পরিচয় দানকারী সৌদি রাজারা যুগের পর যুগ এভাবেই ইসলামের ক্ষতি করে চলেছেন। ইসলামি সংস্কৃতিকে তারা বিকৃতভাবে তুলে ধরেছেন। যে ইসলাম ধর্মে বারবার বিলাসিতার বিরোধিতা করা হয়েছে, সেই ইসলাম ধর্মের ধারক-বাহক সেজে বিলাসিতায় মত্ত হয়ে পড়েছেন সৌদি রাজ পরিবার। অবশ্য এসব কাজের কারণে অনেক বিবেকবানের চোখ-কান আস্তে আস্তে খুলে যাচ্ছে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।#