রোহিঙ্গা ইস্যূ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন জাতিসংঘের মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব এন্টোনিও গুতারেস বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যূ তিনি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সোমবার জাতিসংঘ মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী এছাড়াও ইউএনডিপি’র প্রশাসক এ্যাচিম স্টেইনার এবং ইউএন-ওএইচআরএলএলএস এর প্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামুলোয়া কাতওয়া উতিকোমানুর সাথেও সাক্ষাৎ করেন।
আজ এক তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ সময় অর্থমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শ অনুযায়ী একটি ‘সেফ জোন’ গঠনসহ এ সঙ্কটের দ্রুত ও স্থায়ী সমাধানে জাতিসং
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মহাসচিব জানান, অধিক জনসংখ্যার দেশ হয়েও বাংলাদেশ এই বিশাল রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দীর্ঘদিন ধরে মানবিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে যা তাকে মুগ্ধ করছে। মহাসচিব এই মানবিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
মহাসচিব আরো জানান, শরণার্থী বিষয়ক পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি বর্তমান রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং এ সঙ্কট সমাধানে জাতিসংঘের যা করণীয় তা তাঁরা করে যাচ্ছেন।
উন্নয়নেরক্ষেত্রে বাংলাদেশকে তিনি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবজনিত কারণে বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে উল্লেখ করে মহসচিব জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট দেশসমূহকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানে জাতিসংঘের ভূমিকা অব্যাহত থাকবে মর্মে অর্থমন্ত্রীকে জানান।
বিকালে অর্থমন্ত্রী ইউএনডিপি’র সদরদপ্তরে ইউএনডিপি’র প্রশাসক এ্যাচিম স্টেইনারের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে ইউএনডিপির প্রশাসক রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের মানবিক সহযোগিতার প্রশংসা করেন। বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নসহ উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে ইউএনডিপি’র সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে মর্মে প্রশাসক অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
এর আগে অর্থমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইউএন-ওএইচআরএলএলএস এর প্রধান ও জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ফেকিতামুলোয়া কাতওয়া উতিকোমানুর এর সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে বাংলাদেশসহ স্বল্পোন্নত দেশসমূহের পরবর্তী ধাপে উত্তরণের বিষয়সমূহ প্রাধান্য পায়।
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিউল আজম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলম ও বাংলাদেশ মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুনসহ ৬ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল।