গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া ১১ জনের সাজা কমলো
গুজরাটের গোধরায় ট্রেনে আগুনের ঘটনায় মৃত্যুদন্ড পাওয়া ১১ জনের সাজা কমলো
ভারতের গুজরাট রাজ্যের গোধরায় ২০০২ সালে একটি ট্রেনে আগুন লাগানোর মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ১১ জন মুসলিম ব্যক্তির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে একটি আদালত। ওই অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই হিন্দু তীর্থযাত্রী।
ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই ভারতের ইতিহাসের সবচাইতে গুরুতর সাম্পদ্রায়িক দাঙ্গা শুরু হয়েছিল, যাতে ১ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয় - যারা প্রধানত মুসলিম।
আদালত অন্য আরো ২০ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা বহাল রেখেছে, এবং অন্য ৬৩ জনকে খালাস দেয়ার রায় চ্যালেঞ্জ করে করা একটি আপিল খারিজ করে দিয়েছে।
যাদেরকে ২০১১ সালে আদালত খালাস দিয়েছিল তার মধ্যে চার ব্যক্তিকে ওই ঘটনার মূল অভিযুক্ত বলে বলা হয়।
আদগালত এ ছাড়াও গুজরাট রাজ্য সরকারকে গোধরা ট্রেন অগ্নিকান্ডের শিকার প্রতি পরিবারকে ১০ লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেবার নির্দেশ দিয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, রাজ্য এবং রেল কর্তৃপক্ষ আইন-শৃংখলা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছিল।
অভিযোগে বলা হয়েছিল, সবরমতী এক্সপ্রেস নামের ওই ট্রেনটি হিন্দু তীর্থযাত্রীদের নিয়ে অযোধ্যা থেকে ফেরার সময় একদল মুসলিম তার ওপর আক্রমণে চালায়, এবং ট্রেনটি জোর করে থামিয়ে একটি বগিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কিন্তু পরে রাজ্য সরকারের একটি তদন্ত কমিশন ২০০৮ সালে এক রিপোর্টে বলে যে ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনা ছিল একটি ষড়যন্ত্র।
সরকারি একটি রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ট্রেনের ভেতরের একটি দুর্ঘটনা থেকেই হয়তো আগুনের সূচনা হয়েছিল।
এর পর যে ভয়াবহ দাঙ্গা হয়, সে সময় গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এবং বর্তমানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে তিনি সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন, এবং হিন্দু দাঙ্গাকারীদের পরোক্ষভাবে উস্কানি দিয়েছিলেন।
তবে কমিশন এসব অভিযোগ খারিজ করে দেয়।