মাসখানেক আগেই রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার দিকে। কিম জং উনের দেশকে আমেরিকা বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তার পরও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থামাননি কিম। খুব সম্প্রতি রুশ পার্লামেন্টের তিন সদস্য দাবি করেন, পিয়ংইয়ং থেকে সরাসরি কী ভাবে আমেরিকার পশ্চিম উপকূলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো যায়, এখন সেই ছক কষছেন কিম। সম্ভবত তা শুনেই ফের কিমের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর কালকের একটি টুইট নিয়ে ফের শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘২৫ বছর ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও তাঁদের প্রশাসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে এসেছে। চুক্তি হয়েছে। প্রচুর অর্থও খরচ হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি। চুক্তি সইয়ের কালি শুকিয়ে যাওয়ার আগে পিয়ংইয়ং প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে। আমেরিকাকে বোকা বানিয়েছে। দুঃখিত, এখন শুধু একটা জিনিসেই কাজ হবে।’’ ট্রাম্পের লেখা এই ‘একটা জিনিস’ আসলে কী, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ অবশ্য ধরেই নিয়েছে যে, ‘একটা জিনিস’ বলতে যুদ্ধের কথাই বুঝিয়েছেন ট্রাম্প। যদিও প্রেসিডেন্ট নিজে এ নিয়ে কিছু খোলসা করেননি। এ সপ্তাহের গোড়ায় একবার ‘ঝড়ের আগের নীরবতা’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। তখনও তাঁর প্রশাসন তলে তলে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি করছেন বলে খবর রটেছিল মার্কিন সংবাদমাধ্যমে। কাল হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলনে এই দু’টি বাক্যেরই ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল প্রেসিডেন্টের কাছে। তিনি কোনওটিরই সদুত্তর দেননি। শুধু জানিয়েছেন, রেক্স টিলারসনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দারুণ।
মার্কিন বিদেশ সচিবের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক সম্প্রতি তলানিতে ঠেকেছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রপাত পিয়ংইয়ং নিয়েই। টিলারসনের উত্তর কোরিয়া নীতি ট্রাম্পের না-পসন্দ বলে জানাচ্ছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের একাংশ। টিলারসন সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব রেখেছিলেন আর তাতে চিনকে তিনি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চাইছিলেন। ট্রাম্প যা একেবারেই চাইছেন না। রুদ্ধদ্বার প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে টিলারসনের সঙ্গে তাঁর বাদানুবাদ হয়েছে বলেও খবর।