কিশোরগঞ্জের
ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে কনস্টেবল নিহত
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর এলাকায় ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে পুলিশের এক কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। এ সময় স্থানীয় একজন পরিবহনশ্রমিকও ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে আহত হন।
নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. আরিফ। আহত পরিবহনশ্রমিকের নাম মো. ডালিম। আজ রোববার রাতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ভৈরব প্রান্তে এ ঘটনা ঘটে। ডালিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আরিফের বাড়ি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার খাগঢহর ঘন্টিবাজার এলাকায়। তিনি ব্রিজঘাট পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। তাঁর আইডি নম্বর ৫৬০। ডালিম কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ব্রাহ্মণগাঁও এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম মো. মহসিন।
পুলিশ জানায়, আজ রাত সাড়ে আটটার দিকে সেতু পার হওয়ার সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী ডালিমের গতিরোধ করে সর্বস্ব কেড়ে নিচ্ছিল। এ সময় ডালিমের চিৎকার শুনে পুলিশ কনস্টেবল আরিফ এগিয়ে যান এবং ছিনতাইকারীদের ধরার চেষ্টা করেন। তখন এক ছিনতাইকারী আরিফের বুকে ছুরিকাঘাত করে। আরিফ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে আশপাশের লোকজন আরিফ ও ডালিমকে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই আরিফের মৃত্যু হয় বলে চিকিৎসকেরা জানান। খবর পেয়ে ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুল ইসলাম ও ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুখলেছুর রহমান হাসপাতালে যান।
ডালিম জানান, তিনি ঢাকা-সিলেট পথে চলাচলকারী এনা পরিবহনে কাজ করেন। আজ তিনি গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। রাতে এনা পরিবহনের একটি বাসে তাঁর কাজে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা এনা পরিবহনের বাসটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার রাজমণি হোটেলে যাত্রাবিরতি দিয়ে থাকে। সে জন্য তিনি কাজে যোগ দিতে রাতে আশুগঞ্জ যাচ্ছিলেন। আশুগঞ্জ যাওয়ার পথে দুই ছিনতাইকারী তাঁকে ধরে সব কেড়ে নেয় এবং শরীরে ছুরিকাঘাত করতে থাকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ফেরদৌস হায়দার বলেন, নিহত আরিফের বুকের বাঁ দিকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আহত ডালিমের গলা, মাথা ও গালে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
ওসি মুখলেছুর রহমান বলেন, আরিফ ভৈরব থানার অধীনে পরিচালিত ব্রিজঘাট ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।