ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থা শিশু শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে পারে : বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশে প্রথমিক পর্যায়ে ছাত্র উপস্থিতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হলেও শিক্ষার মান উন্নয়নে দেশ এখনো চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা এবং শিক্ষাবিদেরা প্রাথমিক পযার্য়ে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার মান উন্নত না হওয়ার জন্য চিরাচরিত শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা উপকরনকেই দায়ি করেছেন।
প্রথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেছেন, প্রাথমিক শিক্ষায় আমরা সফল, বিশেষ করে ছাত্র উপস্থিতি বৃদ্ধি আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে প্রশংসিত হয়েছে। এখন আমরা প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে গুরুত্ব দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের কাছে শেণী কক্ষ আকর্ষনীয় করে তুলতে ইতোমধ্যেই ৬৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২ হাজার বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে। সরকার সারাদেশে প্রযুক্তি মুখি শিক্ষা প্রদানে বাকি সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপনে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা গ্রহনে আনন্দ পায় এবং তারা তদের পাঠ খুব সহজেই বুঝতে পারে। আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষাকে আরো কার্যকর করতে শিক্ষার মান আরো উন্নত করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা যাতে শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার মান আরো উন্নত করতে পারেন, এ জন্য তাদেরকে দু’সপ্তাহের প্রশিক্ষন দেয়া হবে। প্রাথমিক শিক্ষার মান সন্তোষজনক নয়। এ জন্য এই সমস্যাটি সনাক্ত করতে আমরা একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহন করতে যাচ্ছি।
শিক্ষাবিদেরা অনুষ্ঠানিক শিক্ষার বিভিন্ন পযার্য়ে ভাল ফলাফল করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে শিক্ষার মান উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিভিন্ন সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদারের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর প্রথমিক স্তরে আইসিটি ভিত্তিক শিক্ষা প্রদানে কাজ করে যাচ্ছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর এবং বাংলাদেশে ইউএসএইড এর রিডিং এনহ্যান্সমেন্ট ফর এডভান্স ডেভলোপমেন্ট (আরইএডি) প্রকল্প, সেভ দ্যা চিলড্রেন, সম্প্রতি দিনব্যাপী শিক্ষা উপকরনের এক প্রদশর্নীর আয়োজন করে।
বাংলাদেশে আরইএডি প্রকল্প সেভ দ্যা চিলড্রেন এর পার্টনারশীপ ম্যানেজমেন্টের উপ পরিচালক শাহিন ইসলাম বলেন, বাংলায় শিক্ষার মান বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে শিশু বান্ধব শিক্ষা আইসিটি উপকরনের ব্যবহার, উদ্ভাবনী পাঠ এবং গল্প বলা এবং এন্ড্রোয়েড এ্যাপ থেকে শিক্ষা গ্রহণে অভ্যাস সহায়ক হচ্ছে।
তিনি বলেন, আরইএডি প্রকল্প বাংলাদেশে প্রাথমিক পযার্য়ে বাংলার মান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।