ত্বক বুঝে ফেসিয়াল
পরিচ্ছন্ন ও সুস্থ ত্বক পাওয়ার জন্য। ফরসা ত্বক মানেই সুন্দর নয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা হচ্ছে সৌন্দর্য। আর ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখতে ফেসিয়াল প্রয়োজন।’
ত্বকের ধরন বুঝে ফেসিয়াল করতে হয় । প্রধানত তিন ধরনের ত্বক আছে। তৈলাক্ত, শুষ্ক ও মিশ্র বা স্বাভাবিক। মাঝেমধ্যে এই তিন ধরনের ত্বকে স্পর্শকাতর জায়গাও থাকতে পারে। সেটা বুঝে ফেসিয়ালের উপাদান নির্ধারণ করতে হয়।’। তাঁরাই বলে দেবেন কোন ফেসিয়ালটা আপনার ত্বকের জন্য উপযুক্ত।
যেকোনো উৎসবের আগে ফেসিয়াল করলে এর আগে হোয়াইট টোনিং ম্যাসাজ করে নেওয়া ভালো। এরপর যাঁর যে ফেসিয়াল প্রয়োজন, তা করে নিতে পারেন। এতে ত্বক পরিষ্কারের পাশাপাশি কিছুটা উজ্জ্বল দেখায়। কিন্তু ফেয়ার পলিশ না করার পরামর্শ দিলেন তিনি। ফেয়ার পলিশের ব্লিচ ত্বকে ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ত্বকের ধরন অনুযায়ী ফেসিয়াল করার সময় কোন বিষয়টা খেয়াল রাখতে হবে ।
শুষ্ক ত্বক
শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেসিয়ালের উপাদানগুলোর মধ্যে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার থাকা জরুরি। স্ক্রাবার যেন ক্রিমি হয়। শুষ্ক ত্বক অনেক সময় স্পর্শকাতর (সেনসিটিভ) হয়ে থাকে। সেখানে দুধ কিংবা দুধের সর ব্যবহার করা যেতে পারে। এমন ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা ফেসিয়াল করা যাবে।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বকে অনেক সময় ব্রণ হয়। তাই ত্বককে শুষ্ক করতে পারে এমন ফেসিয়াল করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক স্পর্শকাতর হলে ফেসিয়ালে ক্রিমজাতীয় উপাদান ব্যবহার না করাই ভালো। ক্রিম ত্বকের তেল শুকাতে দেবে না। পাউডার-জাতীয় উপাদানও এড়িয়ে যেতে হবে। লোমকূপে পাউডার জমে থাকলে ব্রণ হতে সাহায্য করে। ব্রণ থাকলে নিম কিংবা ব্রণ ফেসিয়াল করা যেতে পারে। এ ছাড়া অক্সি ফেসিয়াল করা যাবে।
স্বাভাবিক বা মিশ্র ত্বক
মিশ্র ত্বককে আদর্শ ত্বক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো ফেসিয়াল, যেকোনো উপাদান দিয়ে নির্দ্বিধায় করতে পারেন।
ত্বকের কোনো স্থান যদি স্পর্শকাতর হয় তাহলে ফেসিয়ালের সময় তা খেয়াল রাখতে হবে। কার ত্বকে কী উপাদান উপযুক্ত, তা বিবেচনা করে ফেসিয়াল করতে হবে। তবে গোল্ড ফেসিয়াল কিংবা ফ্রুট ফেসিয়াল বেশ কার্যকর।
পারলারে ত্বকের ধরন অনুযায়ী এবং স্পর্শকাতর দিকটি বিবেচনায় রেখে ফেসিয়ালের উপাদানগুলো কম-বেশি বা যোগ-বিয়োগ করে ব্যবহার করা হয়।