নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমাদের শিক্ষার মূল লক্ষ্য নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে প্রস্তুত করা। তারা আধুনিক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যতে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ’ (ইউডা)-এর ৬ষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এমাজউদ্দিন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, ইউডা-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম শরীফ, ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক মুজিব খান এবং উপ-উপাচার্য ড. আহমদ উল্লাহ মিয়া বক্তব্য রাখেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আরো শক্তিশালী ও কার্যপোযোগি করার লক্ষ্যে ‘উচ্চশিক্ষা কমিশন আইন’ তৈরি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উচ্চশিক্ষার মান আরো বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘এ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন’ সংসদে পাশ হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সৃষ্ট জ্ঞান জাতির মৌলিক ও বিশেষ সমস্যাগুলোর সমাধান দিতে পারে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সে ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে’। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন, শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে। তিনি বলেন, ‘উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি যারা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত হয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম হবে। যাদের চিন্তায় থাকবে সৃষ্টিশীলতা, উদার নৈতিকতা, মানবপ্রেম ও বিজ্ঞানমনষ্কতা। উচ্চশিক্ষা যাতে কেবল সীমাবদ্ধ আনুষ্ঠানিক বিদ্যায় পরিণত না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে’।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অভূতপূর্ব পরিবর্তন এসেছে। বছরের শুরুতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে। সারাবিশ্বে এটা অতুলনীয় উদাহরন। বই বিতরণের উদ্দেশ্য সকল শিক্ষার্থীকে স্কুলে নিয়ে আসা।
সমাবর্তনে স্নাতক পর্যায়ে ৮৫৯ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৭৭০ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক, ৬ জনকে উপাচার্য এওয়ার্ড এবং ১৪ জনকে ডিনস্ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।