ছোটদের চাই হোমমেড ডায়েট
হাইপার অ্যাসিডিটিতে ভোগেম এমন মানুষের সংখ্যা খুব একটা কম নয়৷ বর্তমান প্রজন্মের শিশুরাও কিন্তু এই সমস্যার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত এবং এর অন্যতম কারণ ছোটবয়স থেকেই জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যেস৷ ঠিক কি কি কারণে ছোটরা গ্যাস্টারাইটিসের শিকার হচ্ছে আর তার জন্য মায়ের নিজের সন্তানের জন্য কি ধরণের ডায়েট বেছে নেবেন তারই হদিশ রইল এবারের নন্দিনীর পাতায়৷
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাচ্চাকে বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়াতে হবে এবং অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যাতে রান্নায় বেশি মাত্রায় তেল-ঝাল না থাকে৷ এছাড়াও খাওয়ার সময়কেও ঠিক রাখতে হবে৷ মিলের মধ্যেকার সময়সীমা যাতে খুব বেশি না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে৷ শিশুকে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ানোর অভ্যেস করাতে হবে৷ অবশ্য জলেরক্ষেত্রে দেখে নিতে হবে যাতে একেবারে শুদ্ধজল শিশুকে খাওয়ান যায়৷ যেমন ফোটান জল বা পিউরিফায়ারের জল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর৷ জলবাহিত বিভিন্ন ভাইরাস থেকেই অনেকসময় হজমের সমস্যা দেখা দেয়৷ আবার অনেক বাচ্চা পেনসিল বা আঙ্গুল মুখে দেয়৷ এর থেকেই কিন্তু অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
যে বাচ্চার সামান্য কিছু খেলেই এধরণের সমস্যা দেখা যায় তার ক্ষেত্রে অবশ্যই মাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ বাজারে অনেক ধরণের ওষুধ রয়েছে৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ খাওয়াও ঠিক নয়৷ সেক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস বদল করতে হতে পারে৷
mother-child-2বাচ্চারা বাইরের খাবারে অতিরিক্ত পরিমাণে আসক্ত হয়ে পড়লেও ছোটবেলায় অনেক সময় তাদের মধ্যে অ্যাসিডিটির সম্যা দেখা দেয় না৷ কিন্তু তাই বলে এই ধরণের সমস্যা ভবিষ্যতেও হবে না তা কিন্তু নয়৷ বসয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হজম ক্ষমতা কমতে শুরু করে, স্হূলতা দেখা যায় এমনকি ক্রমিক কনস্টিপেশনের সমস্যাও দেখা যায়৷
অ্যাসিডিটি রুখতে ফাইবার জাতীয় খাবার ভীষণ উপযোগী৷ বর্তমানে হোলগ্রেন আটা পাওয়া যায়, তাতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে৷ এছাড়াও দই ভীষণ উপকারী৷ বিভিন্ন মরশুমি ফলেও ফাইবার থাকে৷ ফাইবার মূলত পেট পরিস্কার রাখতে সাহায্য করে৷ কনস্টিপেশনের সমস্যাও কম করে৷
একেবরে ছোটবাচ্চা যে এক্সক্লুসিভ ব্রেস্ট ফিডিং অর্থাৎ শুধু মায়ের দুধই খায় তারও অনেক সময় অ্যাসিডিটি দেখা যায়৷ দুধ হজম করতে না পারলে অনেকসময় বমিও হয়ে যায়৷ তবে এটি সাধারণ ঘটনা৷ মায়েদের এবিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই৷ বাচ্চা বড় হলে এই সমস্যা কমে যাবে৷
এক্ষেত্রে মায়েদের উদ্দেশ্যে একটাই কথা বলার, ছোটবেলা থেকেই যদি আপনি আপনার সন্তানের ডায়েটের উপর নজর দেন তাহলে এই সমস্যা এড়ানো যাবে এবং বড় হয়ে সে নিজে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেই পারে৷