ত্বকের ক্ষেত্রে লিচুর উপকারিতা :
বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে
বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে শুরু করে। লিচু ব্যবহার করে এদের আবির্ভাবকে বাঁধা দেয়া যায়। এজন্য ৪/৫ টি লিচুর খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে নিন। এর সাথে একটি কলার একচতুর্থাংশ পরিমাণ নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি আস্তে আস্তে ও বৃত্তাকারে মুখে ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করুন। তারপর ১৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। বয়স বৃদ্ধির মূল কারণ হচ্ছে ফ্রি র্যাডিকেলের উপস্থিতি। লিচু অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর থাকে যা ফ্রি র্যাডিকেলের সাথে মিশে ত্বকের ক্ষতি রোধ করে।
ত্বকের খুঁত দূর করে
লিচুর রস ত্বকের খুঁত ও দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ৪/৫ টি লিচুর খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে নিয়ে ভালো করে পিষে রস বের করে নিন। লিচুর রসে কটল বল চুবিয়ে নিয়ে মুখে লাগান এবং ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে মুখ মুছে নিন। হাইপারপিগমেন্টেশনের জন্যই ত্বকে দাগ হতে দেখা যায়। ভিটামিন সি এর চমৎকার উৎস লিচু। তাই লিচু ত্বকের দাগ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
চুলের ক্ষেত্রে লিচুর উপকারিতা :
চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে লিচু। একটি পাত্রে ৭/৮ লিচুর রসের সাথে ২ টেবিলচামচ অ্যালোভেরা জেল দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। ১ ঘন্টা পর হালকা শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। লিচুতে কপার থাকে যা হেয়ার ফলিকলকে উদ্দীপিত করে চুল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য উপকারিতা :
ক্যান্সাররোধী
লিচুর সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হচ্ছে এর ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব আছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে লিচুতে শক্তিশালী অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও ক্যান্সার বিরোধী প্রভাব আছে। বিশেষ করে ব্রেস্ট ক্যান্সার কোষের এর উপর ভালো প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।
হৃদপিণ্ডের জন্য উপকারি
লিচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। লিচুতে অলিগোনল নামক উপাদান থাকে যা নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদনকে উৎসাহিত করে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তনালীকে প্রসারিত করে বলে রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্ত পাম্প করতে হার্টের বেশি চাপ প্রয়োগ করতে হয়না। সার্বিক হৃদস্বাস্থ্যের জন্যই লিচু উপকারি।
হজম সহায়ক
লিচু পরিপাক নালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লিচুতে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফাইবার থাকে বলে পরিপাকে সাহায্য করে লিচু। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে লিচু।
ছানি দূর করে
লিচুতে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে যা অ্যান্টিওক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিনিউপ্লাজমিক বৈশিষ্ট্য প্রদর্শন করে। অর্থাৎ এরা কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এ কারণেই লিচু খেলে ছানি প্রতিরোধ করা যায়।
ওজন কমায়
লিচুতে প্রচুর পানি ও ফাইবার থাকে। এছাড়াও লিচুতে খুব বেশি ক্যালোরি থাকেনা এবং খুব কম ফ্যাট থাকে বলে ওজন কমতে সাহায্য করে।