শেখ হাসিনার ওপর প্রাণনাশী হামলার খবর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত: পিএমও'র বিবৃতি
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিবৃতি
প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বিবৃতি
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ একটি বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন পত্রিকার সূত্র ব্যবহার করে বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর গত ২৪ আগস্ট ২০১৭ তারিখে প্রাণনাশী হামলার ব্যর্থ চেষ্টার খবর প্রকাশ করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর তথাকথিত ব্যর্থ হামলার সঙ্গে একটি বিশেষ বাহিনীর কতিপয় সদস্যকে সংশ্লিষ্ট করে বাংলাদেশের কয়েকটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রচারসহ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার খবরটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বিভ্রান্তিমূলক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'দেশের নিরাপত্তার সার্বিক স্বার্থ পরিপন্থী এরূপ বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করা যেকোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও সচেতন গণমাধ্যমের পক্ষে মোটেও কাম্য নয়। এমন ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন এবং বিচার-বিবেচনাপ্রসূত গণমাধ্যম কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।'
বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী প্রেস সচিবের পক্ষে সই করেছেন উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
এর আগে, শিল্পমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমুও প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর অস্বীকার করেন।
আজ (রোববার) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, "প্রধানমন্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে। এই সংক্রান্ত খবর ভূয়া। এ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।"
তবে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
গতকাল শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগস্টের ২৪ তারিখে শেখ হাসিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) কয়েকজন সদস্য দিয়ে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এর সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশও (জেএমবি) জড়িত। কিন্তু শেখ হাসিনার কাছের কয়েকজন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের কয়েকজন কর্মকর্তার প্রচেষ্টায় সে পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।#