Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৪০ কোটি ডলার দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিশ্বব্যাংক




বাংলাদেশ চাইলে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৪০ কোটি ডলার দিতে প্রস্তুত রয়েছে বিশ্বব্যাংক। বুধবার দুপুরে শেরে বাংলা নগরে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান একথা জানান। 
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর 'বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট' নামে বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।  
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য বিশ্বব্যাংক কোনো সহায়তা দেবে কিনা- এমন এক প্রশ্নের জবাবে চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশ চাইলে বিশ্বব্যাংক সহায়তা দেবে। এক্ষেত্রে ৪০ কোটি ডলার অর্থাৎ ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা পেতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্বব্যাংকের আইডিআই-১৮ প্যাকেজের আওতায় ২০০ কোটি ডলার তহবিল রয়েছে। যে দেশে শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি তারা চাইলে এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলার সহায়তা পেতে পারে। বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সংখ্যা ২৫ হাজারের অনেক বেশি। ফলে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সহায়তা পেতে পারে।

এ সহায়তা ঋণ নাকি অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নির্ভর করে শরণার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশ প্রস্তাবনার ওপর। প্রস্তাবনা দেখে মোট সহায়তার অর্ধেক অনুদান ও অর্ধেক ঋণ হতে পারে, আবার পুরোটাও অনুদান হতে পারে। 

রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বব্যাংক মিয়ানমারের ওপর চাপ দেবে কিনা জানতে চাইলে চিমিয়াও ফান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বিশ্বব্যাংকও বিষয়টি মনিটর করছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট নামে প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন। সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহরিন এ. মাহবুব। 

এবারের প্রতিবেদনের বিষয় ছিল বাংলাদেশের কর্মসংস্থান। এতে বলা হয়, গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে যেভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, সেভাবে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। এছাড়া মানসম্মত কর্মসংস্থানেরও অভাব রয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ, যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা কম। চলতি অর্থবছরে সরকারের জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হলো ৭ দশমিক ৪ শতাংশ। এছাড়া এ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ হবে বলে মনে করে বিশ্বব্যাংক; যা সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। চলতি অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির গড় সরকারি লক্ষ্যমাত্রা হলো ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।







«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post