৩০ জনকে খুন করে মাংস খেয়েছে এই নরখাদক দম্পতি
আফ্রিকার গহন অরণ্যে আজও ঘুরে বেরায় ‘হেড-হান্টার’ বা নরমুণ্ড শিকারিরা। শত্রুর মাথা কেটে নরমাংস-সহযোগে মহাভোজের আয়োজন করে তারা। হাড়হিম করা এমন ঘটনার কথা জানিয়েছেন ‘ডার্ক কন্টিনেন্ট’-এর অনেক অভিযাত্রী। তবে এবার আর জঙ্গল নয়। খোদ শহরের বুকেই খোঁজ মিলল এক নরখাদক দম্পতির। রাশিয়ার এক শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের। প্রায় ৩০ জন মানুষ তাদের রাক্ষুসে ক্ষিদে মেটাতে প্রাণ দিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ রাশিয়ার ক্রাসনোদার থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দিমিত্রি বাকসিভ ও তার স্ত্রী নাতালিয়া বাকসিভাকে। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রায় ৩০ জন মানুষকে খুন করে ভক্ষণ করেছে ওই দম্পতি। শুধু তাই নয়, খাওয়ার আগে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলে রাখত তারা। এই ‘ক্যানিবল’ দম্পতি তাদের শিকারকে মাদক খাইয়ে বেহুঁশ করত। তারপর জীবন্তে তাঁদের ছাল ছাড়িয়ে নেওয়া হত। এই পৈশাচিক কর্মের পর মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলত তারা। তারপর শুরু হত নরমাংস সহযোগে মহাভোজ। দিমিত্রির বন্ধুরা জানিয়েছেন, তাঁদের কখনওই ঘরে ঢুকতে দিত না দিমিত্রি ও তার স্ত্রী। তবে ঘরের মধ্যে এমন ভয়াবহ কাণ্ড চলছে তা ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারেনি তাঁরা।
তা কী করে ধরা পড়ল ওই নরখাদক দম্পতি? পুলিশ সূত্রে খবর, ক্রাসনোদার শহরের রাস্তায় একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। ওই ফোনেই একটি ছবি দেখে প্রায় ভিরমি খেয়ে যান পুলিশকর্মীরা। ছবিটিতে দেখা যায়, একটি মানুষের শরীর থেকে মাংস খুবলে খাচ্ছে দিমিত্রি। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ। মোবাইল ফোনের তথ্য ঘেঁটে দিমিত্রির সন্ধান পান তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। বিবিসি সূত্রে খবর, পুলিশি জেরায় অপরাধের কথা স্বীকার করেছে ওই দম্পতি। রুশ সেনার একটি সৈন্য ঘাঁটিতে বেশ কিছুদিন কর্মরত ছিল ওই দম্পতি। এই পৈশাচিক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় শুরু হয় দেশ জুড়ে। রাশিয়ার অপরাধের ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন।