Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত স্থানে আনা হচ্ছে





রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত স্থানে আনা হচ্ছে


  কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নির্ধারিত স্থানে নিয়ে আসার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ইতোমধ্যে মূল সড়কের পাশের পাহাড় থেকে বসতিগুলো তুলে দিয়েছে। তবে বড় সড়ক থেকে খানিকটা দূরের অধিকাংশ পাহাড়েই এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গা বিচ্ছিন্নভাবে রয়েছে।
কক্সবাজার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (দক্ষিণ) মোহাম্মদ আলী কবীর আজ বাসসকে জানান, ‘পাহাড়ি এলাকায় তাবু করে অনেক রোহিঙ্গা এখনও বসবাস করছে। তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে সরকারের নির্ধারিত ২ হাজার একর জমিতে নিয়ে আসার কাজ চলছে। আশা করি সবাইকে ঠাঁই দেয়া সম্ভব হবে। বিচ্ছিন্নভাবে কাউকে বসবাস করতে দেয়া হবে না। সরকার নির্ধারিত জায়গায় না আসলে ত্রাণসহ অন্যান্য সুবিধাদি বন্ধ হয়ে যাবে।’
বনবিভাগের এক জরীপে দেখা গেছে- উখিয়া ও টেকনাফের বালুখালী, তাজমিনার ঘোনা, নকরারবিল, কেরনতলী, পুটিবুনিয়া, বালুখালীরঢালা, কুতুপালং, সফিউল্লাহ ঘাটা এবং বাঘঘোনা-এই ৯টি পয়েন্টে এখনও রোহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে। এর বাইরে অন্যান্য পাহাড়েও রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আবাসস্থল রয়েছে।
২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত নিধন শুরু হওয়ার পর থেকে দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে শুরু করে। উখিয়ার কুতুপালং থেকে টেকনাফের মুছনী পর্যন্ত ছোট-বড় শতাধিক পাহাড়ে ঢল নামে রোহিঙ্গার।
প্রথমদিকে যে যার ইচ্ছামত পাহাড়ি বনভূমিতে অস্থায়ী বসতি গড়ে বাস করতে শুরু করে। কিন্তু অপরিকল্পতভাবে পাহাড় কেটে আশ্রয় শিবির নির্মাণ করার ফলে সামান্য বৃষ্টিপাত হলে পাহাড়ধসের যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। অস্থায়ী আবাস গড়তে গিয়ে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, টেকনাফের হ্নীলা, হোয়াইক্যং, লেদা, মুছনী, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির চাকডালা, তুমব্রু, জলপাইতলী এলাকায় পাহাড় ও বনভূমির বাঁশ-গাছ উজাড় করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রোহিঙ্গা বিষয়ে জেলা প্রশাসনের মুখপাত্র খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘যেসব রোহিঙ্গা বিভিন্ন পাহাড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে তাদের সবাইকে বালুখালীতে নির্ধারিত ক্যাম্পে যেতে হবে। কোন রোহিঙ্গা পাহাড় দখল করে থাকতে পারবে না, ক্যাম্পের বাইরে কেউ থাকতে পারবে না।’
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার অফিসের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা এখনও বিভিন্ন পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। যে কোনোভাবে তাদের সরকার নির্ধারিত বনভূমিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। নইলে পাহাড় ও গাছপালা যেভাবে কাটা হচ্ছে তাতে যে কোনো সময় ভয়াবহ ধস নামতে পারে। এতে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়বে।

 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post