বাড়তি কর আরোপ
অ্যামস্টার্ডাম বিশ্বের অল্প কয়েকটি শহরের একটি, যেখানে যৌনতা ও কিছু মাদক খুবই সহজলভ্য
কেন পর্যটকদের জন্য বাড়তি কর আরোপ করছে অ্যামস্টার্ডাম?
ইউরোপের যেসব শহরে বছর জুড়েই ব্যাপক পর্যটকদের ভিড় থাকে তার একটি অ্যামস্টার্ডাম। যৌনতা আর কিছু ড্রাগসের সহজলভ্যতার কারণে শহরটির প্রতি অনেকেরই রয়েছে তীব্র আকর্ষণ।
বছর জুড়েই লেগে থাকে নানা বয়সী পর্যটকের ভিড়। ছবির মতো সুন্দর সাজানো গোছানো এ শহরটি দেখতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ যায় সেখানে।
পর্যটকের উৎপাত কমাতে শহর কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের জন্য বাড়তি কর আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কেন?
এর জবাবে শহরের ভাইস মেয়র ইউডো কক বলছেন, "রাতভর যে পার্টিগুলো হয় সেগুলোর দিকে দৃষ্টি দিয়েছি আমরা। একটা সীমা তৈরির চেষ্টা করছি। এটা ভালো হতে পারে শুধুমাত্র অ্যামস্টার্ডামের অধিবাসীদের জন্য"।
শহরটির অধিবাসীরা প্রায়ই নানা ধরনের সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করে।
বিশেষ করে যেসব জায়গা বা যেসব বিষয়কে নিয়ে পর্যটকদের আগ্রহ বেশি সেখানে সমস্যাগুলো হয়।
যেমন -বিয়ার বাইক। ৮/১০ জন মিলে একটি বড় বাইক চালানোর সময় পর্যটকেরা অনেক হৈ চৈ করতে পছন্দ করে।
এসব কারণে এখন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০১৮ সাল অর্থাৎ আগামী বছর থেকে পর্যটকদের জন্য ট্যাক্স বাড়ানো হবে দুই শতাংশ। আর এটি কার্যকর হবে শহরের মধ্যেকার হোটেলগুলোর জন্য।
"এটা অন্যায় বা ভুল কিছু না। বরং এটা এক ধরনের ভ্যালু অ্যাড করবে বিশেষ করে কর্মসংস্থান, রাজস্ব আদায় এবং অ্যামস্টার্ডামের মানুষের লাভবান হওয়ার ক্ষেত্রে"।
পর্যটক
অ্যামস্টার্ডাম বিশ্বের অল্প কয়েকটি শহরের একটি, যেখানে যৌনতা ও কিছু মাদক খুবই সহজলভ্য।
আর সে কারণে যে ১৭ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর এ শহর ভ্রমণ করে তাদের একটা বড় অংশের আকর্ষণই থাকে এসবে।
শহরের কিছু অধিবাসী এখন মনে করছেন তাদের বাড়িঘর ভরে গেছে পর্যটকে যারা মূলত এসব সস্তা বিষয়কেই উপভোগ করতে আসেন,আর এর মাধ্যমে তারা মূলত যে অর্থ ব্যয় করেন তার চেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করছেন।
শহরের একজন অধিবাসী জ্যাকব স্ট্রয়েট বলছেন, এসব পর্যটকরা এমন আচরণ করেন এখানে এসে যেটি তারা নিজের বাড়িঘরে করেন না। রাতে তারা অতিমাত্রায় মদ্যপান করছেন আবার রাতভর হৈ চৈ চিৎকার করেন। তারা ময়লা আবর্জনা ফেলছেন পানিতে কিংবা রাস্তায়। এটা শহরের বাসিন্দাদের জন্য খুবই বিরক্তিকর।
অধিবাসীদের অনেকে মনে করেন শহরের যে তারুণ্য সেটিকেই ধ্বংস করা হচ্ছে।
"প্রভাবটা এমন পড়ছে যে শহরটি আসলে তার প্রাণকেই হারাচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনো বিভক্তি চাই না। যে বেশি পয়সাওয়ালারা আসবে শহরে আর যাদের পয়সা কম তারা আসতে পারবে না। আমসটারডামে পর্যটকদের নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে সেটি সমাধানের পথ এটি নয়"।