রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ জামালপুরের
বুধবার দুপুর ১.২০ মিনিটে কালিঘাট এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম জানান, সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. শাহ জালাল জানান, মেয়রকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে পরে জানানো হবে।
গত সোমবার সকালে উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৪ নম্বর রোডের ৬০ নম্বর বাড়ি থেকে বের হন মেয়র রোকন। এরপর আর তার সন্ধান না পেয়ে ওই রাতে উত্তরা-পশ্চিম থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি করা হয়।
সরিষাবাড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী বলেন, মেয়র বাসা থেকে ১০ মিনিটের জন্য বের হয়েছিলেন। ওই সময় তিনি তার দেহরক্ষী ও গাড়ির চালককে তৈরি থাকতে বলেন। ফিরেই গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি আর বাসায় ফেরেননি। এর পর থেকে তার মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
নিখোজেঁর পর মেয়র রোকনের শ্বশুর নুরুল ইসলাম বলেন, গত রোববার সরিষাবাড়ী থেকে ঢাকায় আসেন রোকন। তার সঙ্গে কারও ঝামেলা রয়েছে কি-না, তা তাদের জানা নেই। নিখোঁজের পর তাকে ফিরিয়ে দিতে কেউ টাকাও দাবি করেনি। আইন-শৃগ্ধখলা বাহিনীও তাকে নেওয়ার কথা নয়। পুরো ঘটনা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
রোববার রাত ৯টা ১৩ মিনিটে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন সরিষাবাড়ী পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন। তাতে বলা হয়, 'তোমাদের এই ভালোবাসা আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না। তোমাদের ভালোবাসার কাছে মনে হয় আমি হেরে গেলাম। কারণ, আমি তোমাদের জন্য কিছুই করতে পারলাম না। তারপরও বলতে চাই, ভালোবাসি ভালোবাসি। এই ভালোবাসা নিয়েই সবকিছু জয় করতে চাই এবং এই ভালোবাসা নিয়েই মরতে চাই। নতুন প্রজন্মের কাছে আমার আহ্বান যে, আমাকে হত্যা করা হলেও তোমাদের সিক্ত ভালোবাসা যেন অটুট থাকে এবং আমার উম্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবা।'
এ স্ট্যাটাস দেওয়ার পরদিন সোমবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকার উত্তরার একটি পার্ক থেকে নিখোঁজ হন মেয়র রোকন।
পৌর মেয়র রুকুনুজ্জামান রোকন পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি। তিনি ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরিষাবাড়ী পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। রোকন উত্তরার গাউসুল আযম এভিনিউর নাহার প্লাজার ৬০ নম্বর ভাড়া বাসায় ১০ বছর ধরে বসবাস করে আসছেন।