সুমন/রিপন/ খোকন// মেহেরপুরের টুকরো খবর গুলো দেখুন
মেহেরপুর জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির ১৪ তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ফলাফল পাওয়া গেছে। নির্বাচনে ক শ্রেণীর ফলাফলে রজনী গন্ধা প্যানেল থেকে ৭ জন এবং স্বতন্ত্র ভাবে ৫ জন বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় খ শ্রেণীর ফলাফল প্রকাশিত হয়।
প্রসঙ্গত, ক শ্রেণীতে ৪৬৩টি ভোটের মধ্যে পোল হয়েছে ৪৩৫টি। ১২টি পদেও বিপরীতে এখানে প্রার্থী ছিল ২১ জন। খ শ্রেনীতে ৩৪ ভোটের মধ্যে পোল হয়েছে ৩১টি। এখানে ৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ৬জন। আগামী ১৭ অক্টোবর বিজয়ী প্রার্থীদের ভোট প্রদানের মাধ্যমে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হবে।
মেহেরপুর জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির ১৪তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে গণনা চলছে। ইতিমধ্যে ২য় শ্রেণীর ফলাফল পাওয়া গেছে। ২য় শ্রেণীর ৫টি পদের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করেন। ২য় শ্রেণীতে ৩৪ জন ভোটারের মধ্যে ৩১ টি ভোট পোল হয়েছে। প্রাপ্ত প্রাথমিক ফলাফলে হাজী মো: আলী হোসেন ২১ ভোট, মো: রফিক ২১ ভোট, মো: ফুরকান আলী ১৮ ভোট,শাহাবদ্দিন খান ২০ ভোট, আলী হোসেন খান ১৭ ভোট এবং এস এম এনামুল আযীম রাশেদ পেয়েছেন ১৪ ভোট।
এদিকে ১ম শ্রেণীর ভোট গণনা চলছে। ১ম শ্রেণীতে ৪৬৩ ভোটের মধ্যে পোল হয়েছে ৪৩৫ ভোট।
মেহেরপুর গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিন দিন ব্যাপী গণিত কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার শেষ দিনে প্রস্তুতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মরিয়ম মির্জাখানি গণিত কর্মশালা ২০১৭’ নামের এ কর্মশালার আয়োজন করে দেশের ঘণিত ভুবনের অন্যতম সংগঠন গাংনী গণিত পরিবার। অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী গণিত পরিবারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুল্লাহ আল আসাদ। প্রধান অতিথি ছিলেন গাংনী পৌর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোমিনুজ্জামান। বক্তৃতা রাখেন গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজ প্রভাষক তারিকুজ্জামান, গাংনী গণিত পরিবারের এলামনাই আবির সাফি বিন্দু, আমিরুল, শোয়েব প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন গাংনী গণিত পরিবারের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফ হাসান কৌশিক।
তিন দিনের কর্মশালায় পাঠ্যপুস্তুকের বাইরের গণিতের মজার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও আসন্ন বিভাগীয় গণিত উৎসবের প্রস্তুতি নিয়েও দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ইরানী গণিতবিদ ‘মরিয়ম মির্জাখানী’ একমাত্র নারী গণিতবিদ হিসাবে গণিতশাস্ত্রের সর্বোচ্চ সম্মান গণিতের নোবেল খ্যাত 20;ফিল্ডস মেডেল লাভ করেন। ২০১৭ সালে মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। তার প্রতি সম্মান দেখানোর লক্ষ্য নিয়েই তার নামে কর্মশালার নামকরন করা হয়
মেহেরপুর গাংনী উপজেলার কেশবনগর গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করেছে স্কুল পড়ুয়া এক তরুণী। বাল্য বিয়ের অজুহাতে ছেলের অপকর্ম ঢাকতে প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ করছে প্রেমিক সুজা উদ্দীনের পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে কিশোরীর পরিবারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ষোলটাকা ইউনিয়নের কেশবনগর গ্রামের নবম শ্রেণী পড়ুয়া এক কিশোরীর সঙ্গে একই গ্রামের মোস্তফা ইসলামের ছেলে কলেজ ছাত্র সুজা উদ্দীনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের প্রলোভনে তাদের সম্পর্ক গভীরে পৌঁছায়। কিশোরী ঘর বাধার স্বপ্নে কলেজ ছাত্রের বিভিন্ন আবদারে সাড়া দেয়। কিন্তু কয়েকদিন আগে থেকে প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে সুজা উদ্দীন। বিষয়টি পরিবার ও প্রতিবেশীদের মাঝে মুখরোচক গল্পের জন্ম দেয়। নিরুপায় হয়ে ওই কিশোরী শনিবার সুজা উদ্দীনের বাড়িতে যায়। বিয়ের দাবিতে শুরু করে অনশন। তবে কৌশলে সুজা উদ্দীনকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয় তার পরিবার।
এদিকে সুজা উদ্দীনের পরিবার বিয়েতে রাজি না হলে সম্মানহানীতে পড়েন কিশোরী প্রেমিকা ও তার পরিবার। গ্রামের উত্সুক মানুষ তাকে দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করে। কিন্তু বিয়েতে বড় সমস্যা হয়ে দেখা দেয় প্রেমিক-প্রেমিকার বয়স। এ সুযোগ কাজে লাগায় সুজা উদ্দীনের পরিবার। ছেলের অপকর্ম ঢাকাতে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। অবশেষে প্রশাসনের উদ্যোগে বাল্য বিয়ে ভেস্তে যায়।
কিশোরীর পরিবারে অভিযোগ, আইনানুগভাবে বাল্য বিয়ে দ-নীয়। কিন্তু একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সঙ্গে সুজা উদ্দীন যে অপকর্ম করেছে তার বিচার কী হবে? বাল্য বিয়ের ফাঁদে বিয়ে বন্ধ হয়েছে তাতে কিশোরীর পরিবারের মন্তব্য নেই। তাহলে সুজা উদ্দীনের কী বিচার হবে না? প্রশ্ন কিশোরীরর পরিবারের।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ওই কিশোরীর বিয়ে ঠিক হয়। বিভিন্ন স্থানে যেভাবে গোপনে বাল্য বিয়ে হচ্ছে সেভাবেই তাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন পরিবার। কিন্তু বাধ সাধে সুজা উদ্দীন। কয়েকদিনের মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে পরিবারের পছন্দের ছেলের সঙ্গে বিয়েত আপত্তি করে ওই কিশোরী। ফলে ভেঙ্গে যায় বিয়ে। এ সুযোগ কাজে লাগায় অভিযুক্ত লম্পট সুজা উদ্দীন। কিশোরী প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে ইচ্ছা পুরুণ করে। এরপরেই প্রেমিকাকে এড়িয়ে চলতে থাকে। প্রেমিকা বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে সুজা উদ্দীনের বাড়িতে অনশন করে। সুজা উদ্দীনের অপকর্ম ঢাকতে কৌশলে বাল্য বিয়ে ভেঙ্গে দিতে সক্ষম হয়েছে তার পরিবার। এতে সাময়িক জয় হলেও শেষ রক্ষা হচ্ছে না। কিশোরীর সাথে প্রতারণা-ছলনাসহ বিভিন্ন সম্পর্কের সুবিচার পেতে আইনের আশ্রয় নিতে যাচ্ছে কিশোরীর পরিবার
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গেল শুক্রবার আনন্দবাস গ্রামে অষ্টম শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হয়েছে আনুষ্ঠানিকভাবে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ও অর্ধশতাধিক বরযাত্রীর আপ্যায়ন করা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। এছাড়াও গেল দুই শুক্রবার ধানখোলা গ্রামের উত্তরপাড়ায় দুই কিশোরীর বাল্য বিয়ে হয়েছে। প্রতিদিনই গাংনী উপজেলায় বাল্য বিয়ে হচ্ছে। কোনটি গোপনে আবার কোনটি প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে। এসব বিয়ে বন্ধ কিংবা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কোন ভুমিকা নেই। কেশবনগর গ্রামের ওই প্রেমিক-প্রেমিকার বিয়ে বন্ধে প্রশাসন যে ব্যবস্থা নিয়েছেন তা প্রতিটি বাল্য বিয়ের ক্ষেত্রেই যেন পরিলক্ষিত হয়ে সে দাবি এলাকাবাসীর। গাংনীর কেশবনগরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন ॥ ছেলের অপকর্ম ঢাকতে প্রশাসনের দ্বারস্থ'
এদিকে ১ম শ্রেণীর ভোট গণনা চলছে। ১ম শ্রেণীতে ৪৬৩ ভোটের মধ্যে পোল হয়েছে ৪৩৫ ভোট।
মেহেরপুরের গাংনীতে ছাত্রদলের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকাল ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান। প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন। এসময় পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা,উপজেলা যুবদলের সভাপতি আক্তারুজ্জামান আক্তার,উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আব্দাল হক ষোলটাকা ইউপি বিএনপির সাধারন সম্পাদক কামরুল ইসলাম,বিএনপি নেতা রবিউল ইসলাম রবি,পৌর বিএনপি নেতা কিতাব আলী,যুবদল নেতা সালাউদ্দীন রনি,সাইফুল ইসলাম,ছাত্রদল নেতা নাজমুল
হক,জাহিদ হোসেন,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা আক্তারুজ্জামান,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম,জাহাঙ্গীর হোসেন সহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথী মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ আমজাদ হোসেন বলেন,শুধু রাজনীতি করলেই হবেনা সু শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে জনকল্যানে কাজ করতে হবে। ছাত্ররাই আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।
ছাত্রদলের সকল নেতা কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে আমজাদ হোসেন বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে বিভিন্ন দাবি আদায়ে ছাত্ররা অগ্রনী ভুমিকা পালন করেছে। তাই জনগনের সরকার প্রতিষ্টায় ছাত্রদল ভুমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেহেরপুর জেলা শিল্প ও বণিক সমিতির ১৪ তম দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনের ভোট গ্রহন শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে জেলা শিল্পকলা একামেডী মিলনায়তনে এ ভোট গ্রহন শুরু হয়। চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
৬টি বুথে প্রথম শ্রেণীর ৪শ ৬৩ জন ভোটার এবং দ্বিতীয় শ্রেণীতে ৩৪ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। নির্বাচনে দুটি গ্রুপের মোট ২৭ জন প্রার্থী অংশ গ্রহন করছে। এদের মধ্যে প্রথম শ্রেনীর ১২টি পদের বিপরীতে ২১ জন এবং ২য় শ্রেনীর ৫টি পদের বিপরীতে ৬ জন প্রার্থী রয়েছন।