দুজনের নামের আদ্যাক্ষরেই শুধু মিল নয়। এর চেয়েও বড় মিল, দুজনই পোড় খাওয়া ক্রিকেটার। সবচেয়ে বড় ধাক্কাটা তাঁরা খেয়েছেন গত মার্চে কলম্বোয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বাদ পড়ে। সেই ক্ষত না শুকাতেই আবারও একটা ধাক্কা গত মাসে। দুজনই বাদ পড়লেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে। পরে মুমিনুল হক ফিরলেও মাহমুদউল্লাহর ভাগ্য বদলায়নি। সময়ের ফেরে সেই মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটেই পচেফস্ট্রুমে লড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার কেশব মহারাজের বলে মুমিনুল ৭৭ রানে আউট হলে আবারও বিপাকে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার চাপিয়ে দেওয়া রানের বোঝা খেলতে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৩ উইকেটে ১২৭ রান করে। আজ প্রথম সেশনে ৯১ রান যোগ করে ৪ উইকেট ২১৮ রান তুলে লাঞ্চে গিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ হারিয়েছে শুধু তামিম ইকবালকে (৩৯)। বাংলাদেশকে আশা দিচ্ছিল মুমিনুল-মাহমুদউল্লাহর অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটি। এই জুটি ভেঙেছে ৬৯ রানে। ফলো অন এড়াতে বাংলাদেশের আরও প্রয়োজন ৬১ রান। প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে ২৬০ রানে।
মুমিনুল সর্বশেষ সেঞ্চুরি করেছেন ২০১৪ সালের নভেম্বরে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে। বাঁহাতি এই টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান এরপর ১১ টেস্টে ১৯ ইনিংস খেললেও তিন অঙ্কের দেখা পাননি আর। পচেফস্ট্রুমে পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরির হাতছানি ছিল মুমিনুলের সামনে। তিনি গত দুই বছর যে কবার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছেন, প্রতিটিতে আউট হয়েছেন ৬০ থেকে ৮০ রানের মধ্যে। মুমিনুলের ফাঁড়াটা কাটেনি আজও। তবে আল শাহরিয়ারের ৭১ রানকে টপকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানটা করতে পেরেছেন তিনি। ৩৪ রানে অপরাজিত মাহমুদউল্লাহর সামনে এখনই সেঞ্চুরির হাতছানি নেই। তবে পচেফস্ট্রুম টেস্ট বাঁচাতে হলে ইনিংসটা লম্বা করতে হবে তাঁকে। তাঁর সঙ্গী বেনোনিতে প্রস্তুতি ম্যাচে জোড়া ফিফটি করা সাব্বির রহমান।