রোহিঙ্গা শিশুদের ফেরত পাঠাবে না পশ্চিমবঙ্গ
ভারত সরকার যখন সেদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে, তখনই পশ্চিমবঙ্গ বলছে রাজ্যের হেফাজতে থাকা ৪৪টি রোহিঙ্গা শিশুকে তারা কখনোই ফেরত পাঠাবে না।
পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন ভারতের সুপ্রীম কোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেছে এ নিয়ে।
কিন্তু আমাদের পশ্চিমবঙ্গে যে রোহিঙ্গা শিশুরা রয়েছে, তাদের আমরা মৃত্যু উপত্যকায় ফেরত পাঠাতে পারি না। কারণ সারা বিশ্ব জানে সেখানে কী চলছে।"
বেআইনীভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে আটক হওয়া ২৪ জন রোহিঙ্গা শিশু-কিশোর পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছে। এছাড়া আরও ২০টি শিশু তাদের মায়ের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন কারাগারে। ওই মায়েরাও বেআইনীভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে সাজা খাটছেন।
"শিশুরা তো আর জঙ্গী নয়। তারাতো আর জাতীয় নিরাপত্তার কোনও বিঘ্ন ঘটাতে পারে না। তাদের মুক্তি দিতে চাইছি আমরা। সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনে আমরা সেটাই উল্লেখ করেছি"- বলছিলেন মিস চ্যাটার্জী।
মিয়ানমারে 'জাতিগত নিধন' নি:শর্তে বন্ধের আহ্বান শেখ হাসিনার
দিল্লির রোহিঙ্গা নীতির বিরোধিতা ভারতের ভেতরেও
ভারতে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা হঠাৎ করেই বিপজ্জনক হয়ে গেল?
‘পা ধরে বলেছি কাউকে বলবোনা, বাংলাদেশে চলে যাব’
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শিশুর হাতে ত্রাণের খাবার। রাখাইনের সহিংসতা থেকে পালিয়ে এসেছে সে। ১৯শে সেপ্টেম্বরের ছবি এটি।
এই রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের প্রত্যেকের জন্যই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার পরিচয়পত্র তৈরি হয়ে গেছে। সেটা বিলি করারও কথা ছিল কয়েক সপ্তাহ আগে।
কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর জন্য রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করার যে নির্দেশ দিয়েছে, সে কারণেই শরণার্থী পরিচয়পত্র বিলি করার কাজ থমকে গেছে।
প্রতিটি রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে সে রাজ্যে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে তার একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
পশ্চিমবঙ্গ অবশ্য সেই কাজ শুরু করেনি এখনও।
রাজ্যের হেফাজতে থাকা রোহিঙ্গা শিশু-কিশোরদের শরণার্থী পরিচয়পত্র দেওয়া গেলে তাদের মুক্তি দেওয়া যাবে।
তারপরে তারা দিল্লি বা জম্মুর রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতেও যেতে পারে অথবা রাজ্য সরকারি শিশু-কিশোর আবাসগুলোতেও থাকতে পারে বলে কমিশন জানিয়েছে।
ভারতে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের যেন মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানো হয়, তার জন্য মূল মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে চলছে।