ক্যান্সার প্রতিরোধে প্রতিদিন যেসব খাবার খাবেন
শুরুতেই চেনা গেলে বা সবসময় সচেতন থাকলে এই দূরারোগ্য রোগের হাত থেকে সহজেই বাঁচা যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যদি ক্যান্সার প্রতিরোধক খাবার থাকে তাহলে কোনো ধরণের ওষুধ ছাড়াই কঠিন এ রোগটি থেকে আমরা বাঁচতে পারি।
সবুজ শাকসবজি:
সবুজ শাকসবজি সবসময়ই আমাদের হাতের নাগালের মধ্যে থাকে। অল্প টাকাতেই প্রতিদিন আমারা বিভিন্ন সবুজ শাকসবজি কিনে নিতে পারি। গাঢ় সবুজ শাকসবজিতে ক্যান্সাররোধী বিটাক্যারোটিন, ফোলেট ও লিউটেইন থাকে। যে শাকসবজি যত সবুজ, তাতে তত বেশি এ উপাদান রয়েছে।
ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল:
এটাও আমাদের হাতের নাগালের মধ্যেই থাকে। যেমন, লেবু, আমলকি, পেয়ারা, কমলা ইত্যাদি ফলগুলো আমাদের খুব পরিচিত। তাই প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ ফল রাখুন। যারা প্রতিদিন কিছু না কিছু ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ ফল খান, তাদের অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় অর্ধেক বা দুই-তৃতীয়াংশ কমে যায়।
রসুন ও পেঁয়াজ:
প্রতিদিনের খাবারের সাথে এটিও রাখতে পারেন সহজেই। তরকারি রান্নার সময় এ উপাদানগুলো একটু বেশি এমনিই স্বাদ বেড়ে যায়। এর সাথে যদি ভয়ঙ্কর রোগ ক্যান্সারের প্রতিশেধক মেলে তাহলে তো এক ঢিলে দুই শিকার। রসুন-পেঁয়াজ জাতীয় সবজিতে রয়েছে খাদ্যনালি, পাকস্থলী, ফুসফুস ও যকৃতের ক্যান্সাররোধী।
বাঁধাকপি, ফুলকপি, শালগম:
অল্প সেদ্ধ করলে সবজির উপাদান ঠিক থাকে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। এ সবজি নিয়মিত গ্রহণে খাদ্যনালির ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৭০ শতাংশ কমে।
সয়াবিন:
সয়াবিনে ক্যান্সাররোধী অন্তত পাঁচটি উপাদান রয়েছে। এসবের মধ্যে একটি উপাদানের রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য ব্যবহৃত ওষুধ টেমোক্সিফেনের মতো।কয়েকটি উপাদান, যার নির্যাস স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি প্রায় ৭১ শতাংশ কমিয়ে দেয়।
আসুন আমরা নিজে এগুলো মেনে চলে নিজে বাঁচি এবং অন্যদেরকেও বাঁচাতে সাহায্যা করি।