হারতে হারতে ক্লান্ত স্মিথের আক্ষেপ
চলতি বছরে দেশের বাইরে একদিনের আন্তর্জাতিকে টানা ১৩ ম্যাচে হার। আরও একটা সিরিজে হার। ‘মেন ইন ইয়েলো’র কী যে দুরবস্থা চলছে! শেষ ১২ মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫–০ হার। নিউজিল্যান্ডের কাছে ২–১ ব্যবধানে হার। বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যাওয়া। ভারতের কাছে ৫ ম্যাচের সিরিজে প্রথম তিনটিতেই হার। একসময়ের দোর্দণ্ডপ্রতাপ অস্ট্রেলিয়ার এখন সত্যই করুণ দশা!
ইন্দোরে তৃতীয় একদিনের ম্যাচে খুব ভাল শুরু করেও শেষের দিকে খেই হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তার বড় কৃতিত্ব অবশ্যই প্রাপ্য ভুবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রীত বুমরার। ডেথ ওভারে অসাধারণ বোলিং করে তাঁরা অস্ট্রেলিয়াকে বেঁধে রেখেছিলেন ৩০০–র নিচে। এই ব্যাপারটাই মানতে পারছেন না অসি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। রবিবার রাতে ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘৩৮ ওভার পর্যন্ত আমাদের ব্যাটিং ঠিকঠাকই ছিল। পরে সেটাই আর ধরে রাখা যায়নি। শেষ ৭৪ বলে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পেরেছিলাম ৬৯। আমরা যদি ৩৩০–৩৪০ রান তুলতে পারতাম, সেটাই হওয়া উচিত ছিল, তাহলে নিশ্চিতভাবে পরিস্থিতি অন্যরকম হতে পারত।’ একটু থেমেই স্মিথের সংযোজন, ‘অনেক বারই এমন হচ্ছে যে, আমরা ভাল অবস্থায় পৌঁছেও তার অ্যাডভান্টেজ নিতে পারছি না।’ রবিবার ম্যাচের নায়ক হয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ভারতীয় অলরাউন্ডারের দুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়েই সিরিজ হাতের মুঠোয় নিয়েছেন বিরাট কোহলি। অথচ হার্দিকের ৪১ রানের মাথায় তাঁর ক্যাচ ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং স্মিথ। এ ব্যাপারেও আক্ষেপ ঝরে পড়েছে তাঁর গলায়, ‘এই মুহূর্তে আমার ক্যাচিং একেবারেই ভাল হচ্ছে না। এই সিরিজে এখনও পর্যন্ত প্রতিটা ম্যাচেই আমি ক্যাচ ফেলেছি। চেষ্টা করছি, পরিশ্রম করছি, যাতে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা যায়।’
একেই সিরিজ হার, তার ওপর আরও ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। আঙুল ভেঙে সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন বাঁ–হাতি স্পিনার অ্যাস্টন আগার। এমনিতেই বল করতে গিয়ে বেধড়ক মার খেয়েছেন তিনি। কিন্তু বিপত্তি হল ফিল্ডিং করতে গিয়ে। ডান হাতের কড়ে আঙুলে চোট পান অ্যাগার। এক্স–রে করার পর রিপোর্টে জানা যায়, আঙুল ভেঙেছে তাঁর। অ্যাগার অস্ট্রেলিয়া ফিরে যাচ্ছেন চিকিৎসার জন্য। সম্ভবত অস্ত্রোপচার করাতে হবে অ্যাগারের আঙুলে।