চিনা প্রশাসনের নিদান, বাড়িতে রাখা যাবে না কোরান
বাড়িতে রাখা যাবে না কোরান। শুধু কোরানই নয়, প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে যাবতীয় ইসলামি দ্রব্য। এমনই নিদান চিনা প্রশাসনের। নাগরিকদের ধর্মাচরণের স্বাধীনতায় ফের একবার হস্তক্ষেপ করে ঘোষণা করল চিনা সরকার।
এবার সেদেশের দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তের এশিয়া ম্যানর লাগোয়া শিনজিয়ান প্রদেশের বাসিন্দাদের কোরান ও অন্যান্য যাবতীয় ইসলামি দ্রব্য জমা দিতে নির্দেশ দিল প্রশাসন। তল্লাশিতে কারও বাড়িতে ইসলামি কোনও পণ্য পাওয়া গেলে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে চিনা সরকার।
চিনের দক্ষিন পশ্চিম প্রান্তের ওই এলাকায় কাজাখ, উইঘুর, কিরঘিজের মতো সংখ্যালঘু উপজাতির বাস। ইসলাম ধর্মাবলম্বী ওই জনজাতির প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রয়েছে কোরান-সহ অন্যান্য ধর্মীয় জিনিসপত্র। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে চিনা প্রশাসনের তরফে ওই এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এই বিষয়ে স্পষ্ট একটি নিদান তুলে দেওয়া হয়েছে। জমা দিতে হবে নমাজ পড়ার মাদুরও।
তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও চিনা সরকারের ফতোয়ার মুখে পড়তে হয় শিনজিয়ান প্রদেশের বাসিন্দাদের। চলতি বছর এপ্রিলে এক নির্দেশিকা জারি করে চিনা সরকারের তরফে শিশুদের ইসলামি নাম রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সোশ্যাল সাইটে বার্তা পাঠানো হয়েছে এই ইস্যুতে। পাঁচ বছর আগের প্রকাশিত কোরানে উসকানিমূলক বক্তব্য আছে, এমনই অভিযোগ প্রশাসনের। তাই সেই সব কোরান বাজেয়াপ্ত করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
কোনওভাবেই যাতে ধর্মীয় অশান্তি ছড়িয়ে না পড়ে, তারজন্যেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন তুলেছে উইঘুর মানবাধিকার কমিশন। ধর্মপালনের মৌলিক অধিকার এতে লঙ্ঘিত হচ্ছে বলে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।