মহসীন আলী আঙুর//
উপকারিতা
প্রাথমিক গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের ঘুমাতে যাওয়ার আগে এবং পরে চেরি ফলের জুস (এক গ্লাসের অর্ধেক জুস ও অর্ধেক পানি) খেতে দেয়া হয়। এর সাথে সাথে তাদেরকে মেলাটোনিন (শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে ঘুমের চক্র ঠিক রাখতে সহায়তা করে) জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখা হয়। এরপর একটা চার্ট ও প্রশ্ন-উত্তরের মাধ্যমে তাদের ঘুমের অভ্যাস সম্পর্কে তথ্য নেয়া হয়। দেখা যায়, টক চেরি জুস তাদের রাতের ঘুম বৃদ্ধি করতে, দিনের বেলার ঘুম কমাতে ও ঘুমের দক্ষতা বাড়ায় সহায়তা করেছে। এর পিছনে কারণ হিসাবে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেন- টক চেরি জুস দেহে মেলাটোনিনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে তোলে।[২]
শরীরতত্ত্ববিদ ডা. গ্লায়ন হোওয়াটসন বলেন-‘আগে আমরা কষ্টকর ব্যায়ামের পর টক চেরির জুস পান করতাম,যাতে শক্তি ফিরে পাই, তবে বর্তমানের পরীক্ষা দ্বারা দেখা যাচ্ছে, এর আরেকটি গুণও রয়েছে, তাহল- চেরি জুস ঘুম সহজ করে দেয়, বিশেষ করে যাদের অনিদ্রা রয়েছে বা কাজের চাপে ঠিকমত ঘুম হয় না।[২]
টক চেরি
Prunus cerasus - Köhler–s Medizinal-Pflanzen-113.jpg
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
(শ্রেণীবিহীন): Angiosperms
(শ্রেণীবিহীন): Eudicots
(শ্রেণীবিহীন): Rosids
বর্গ: Rosales
পরিবার: Rosaceae
গণ: Prunus
উপগণ: Cerasus
প্রজাতি: P. cerasus
দ্বিপদী নাম
Prunus cerasus
L.
টক চেরি (বৈজ্ঞানিক নাম:Prunus cerasus) একপ্রকার চেরি জাতের ফল।[১]
পরিচ্ছেদসমূহ
১ গাছের উচ্চতা
২ বিবরণ
৩ উপকারিতা
৪ শীর্ষ চেরি উৎপাদনকারী দেশসমূহ
৫ তথ্যসূত্র
গাছের উচ্চতা
গাছ প্রজাতিভেদে গুল্ম থেকে শুরু করে আট মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। কোনো কোনো জাতের গাছ পাতা ও ডালপালায় বেশ ঝোপালো ধরনের। পাতা ৮ থেকে ১২ সেন্টিমিটার লম্বা, আগা আয়তাকার বা তীক্ষ। ফল দুই সেন্টিমিটার, সাধারণত লালচে বা কালো।[১]
বিবরণ
টক ও মিষ্টি চেরির গাছ প্রায় একই রকম। পার্থক্য শুধু স্বাদে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৫০টির বেশি জাতের টক চেরির চাষ হতো। এপ্রিকট, চেরি ও নাশপাতির ফুল দেখতে প্রায় একই রকম। কিন্তু ফুল দেখে ফলের জাত আলাদা করা কঠিন। সারা পৃথিবীতে চেরি ফুল ও ফলের এতই রকমফের যে একটির সঙ্গে অন্যটির পার্থক্য অতি সূক্ষ্ম।[১]
শীর্ষ চেরি উৎপাদনকারী দেশসমূহ
চুকা চেরি উৎপাদনকারী শীর্ষ উৎস - ২০০৯
উৎস: জাতিসংঘের খাদ্য এবং কৃষি সংস্থা (FAO) স্থান দেশ চুকা চেরি উৎপাদন
(মেট্রিক টন)[৩]
১ রাশিয়া 235,000
২ ইউক্রেন 178,000
৩ তুরস্ক 140,000
৪ পোল্যান্ড 138,000
৫ সার্বিয়া 116,000
৬ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র 98,000
৭ হাঙ্গেরি 82,000
৮ জার্মানি 80,000
৯ ইরান 51,000
১০ জর্জিয়া 15,000
১১ মলদোভা 15,000
১২ বেলারুশ 15,000
১৩ ডেনমার্ক 14,000
১৪ আলবেনিয়া 8,200
১৫ ক্রোয়েশিয়া 7,500