চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন রামনাথ কোবিন্দ: ঐক্যের আহ্বান
ভারতের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিলেন রামনাথ কোবিন্দ। (আজ) মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় সংসদের সেন্ট্রাল হলে শপথগ্রহণ করেন তিনি। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান দেশের প্রধান বিচারপতি জেএস খেরার। কেআর নারায়ণের পর ৭১ বছর বয়সী রামনাথ কোবিন্দই ভারতের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং লোকসভা স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। এছাড়াও ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী এবং বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিকেরা।
জানা গেছে, শপথ অনুষ্ঠানেই দেশের ঐক্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি। শপথগ্রহণের পর জাতির উদ্দেশে প্রথম বক্তৃতা রাখেন রামনাথ কোবিন্দ। তাতে সমাজের সব স্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। জানান, "একটি ছোট্ট গ্রামের মাটির বাড়িতে জন্ম আমার। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত এই যাত্রাপথ যথেষ্ট দীর্ঘ ছিল। আকর্ষণীয়ও বটে। দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক আসনে বসানোয় সকল ভারতবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ আমি। এসময় তিনি আরো বলেন, এই সংসদভবনে আমরা তর্ক বিতর্কে যোগ দিই। আলাপ আলোচনা করি। কখনও একমত হই, আবার কখনও মতামত একেবারেই মেলে না। সঠিক অর্থে একেই গণতন্ত্র বলে। আমরা একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। নিজেদের বৈচিত্রময় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব অনুভব করি। ভারত কতদূর যেতে পারে তা গোটা দুনিয়াকে দেখিয়ে দেওয়ার সময় এসেছে।"
এই বিভিন্নতাকে সঙ্গে নিয়েই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোবিন্দ। তিনি বলেছেন, "আমার ওপর আস্থা রেখেছেন সাংসদরা। দেশের সর্বোচ্চ পদের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন। তার জন্য সকলের কাছে কৃতজ্ঞ আমি। বৈচিত্রই আমাদের সব থেকে বড় সম্পদ। বিভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধ। তাই সকলকে সঙ্গে নিয়েই দেশের অগ্রগতি সম্ভব। একটি ক্রমবর্ধমান, শিক্ষিত অর্থনীতি এবং সাম্যবাদী সমাজ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন তিনি।"