Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» »Unlabelled » চুকাই মূত্রবর্ধক, মৃদু কোষ্ঠ-নরমকারী, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো




 মহসীন আলী আঙুর//
 



চুকাই (Hibiscus sabdariffa) একপ্রকার উপগুল্ম _ (subshrub) জাতীয় উদ্ভিদের ফল।[১] ফলটি টক স্বাদযুক্ত; রঙ গাঢ় লাল। এর ইংরেজি নাম রোসেলা বা সরেল (Rosella, Sorrel)। [২] পৃথিবীর অনেক দেশেই এই গাছের বানিজ্যিক চাষ করা হয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশেও এই ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সর্বত্রই ফলটি জন্মে, তবে বানিজ্যিক চাষ হয় না। ক্রান্তীয় আফ্রিকা চুকাই গাছের আদি নিবাস বলে ধারণা করা হয়। [২]

এটি অপ্রকৃত ফল। বৃতি এর ভক্ষ্য অংশ, যা খুবই পাতলা এবং পরিমাণে অল্প; গর্ভাশয় বড় এবং ছোট ছোট হুলযুক্ত। ভক্ষ্য অংশটি গর্ভাশয়কে ঘিরে থাকে। পরিপক্ক গর্ভাশয়ে অনেকগুলো বীজ থাকে। এটি বিদারী ফল, অর্থাৎ পাকলে এটি ফেটে যায় এবং বীজ ছড়িয়ে যায়।

নাম

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নামে ফলটি পরিচিত। যেমন: রাজশাহীতে চুকাই, খুলনায় ও সাতক্ষীরাতে অম্ল মধু বা অম্বল মধু, ধামরাই এবং মানিকগঞ্জে চুকুল, সিলেটে হইলফা, কুমিল্লায় মেডশ, মেট্টস বা মেষ্টা ইত্যাদি। এছাড়া চুকুর, চুকুরি, চুপুরি, চুকোর, চুপড়, চুকা, চুক্কি, চুই, মেস্তা, খিইরুপ ইত্যাদি নামও প্রচলিত আছে। এটি ভারতের আসামে টেঙ্গামোরা , কেরালায় লালচাটনি, ইরানে চায়ে-তরশ, আরব দেশগুলোতে কারকাদি, ক্যারিবিয় ও ল্যাটিন আমেরিকায় সরেল, ইন্দোনেশিয়ায় রোসেলা, আফ্রিকার অনেকগুলো দেশে বিসাপ নামে পরিচিত।
ব্যবহার

বাংলাদেশে এটি একটি অপ্রচলিত ফল। টক স্বাদের কারণে জ্যাম, জেলি বা আচার তৈরিতে ব্যবহৃত হয় এটি। এছাড়া এদেশে টক বা খাট্টা রান্না করেও খাওয়া হয়। এর মধ্যে 'পেকটিন' আছে বলে শুধুমাত্র চিনি ও চুকাই দিয়ে সহজেই জ্যাম তৈরি করা যায়, আলাদাভাবে পেকটিন মেশাতে হয় না। অস্ট্রেলিয়া, বার্মা এবং ত্রিনিদাদে এই ফলটি জ্যাম তৈরিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এই জ্যাম লালভর্তা নামে পরিচিত। ইংরেজিতে যাকে সরেল জেলি নামে ডাকা হয়।
চুকাই

চুকাই অনেক দেশে সস্তা সবজি হিসেবে ব্যাপক ব্যবহৃত হয়। সম্ভবতঃ এটি মায়ানমারের সবচে জনপ্রিয় সবজি। [৩] চুকাই পাতা রসুন, কাঁচামরিচ ও চিংড়ি মাছ বা অন্য মাছ সহযোগে ভাজি করে অথবা তরকারি রান্না করে খাওয়া হয়। চুকাই পাতা ও চিংড়ি শুটকি দিয়ে টক বা খাট্টা রান্না করেও খাওয়া হয় এবং এটি মায়ানমারে বেশ জনপ্রিয়।

ইতালি, আফ্রিকা ও থাইল্যান্ডে চুকাই পাতা দিয়ে ভেষজ চা বানিয়ে খাওয়া হয়। ত্রিনিদাদে বিয়ারের সাথে এই চা মিশিয়ে খাওয়ার রেওয়াজ আছে।

চুকাই বীজে স্নেহ-দ্রবনীয় (lipid soluble) এন্টি অক্সিডেন্ট আছে, বিশেষতঃ গামা-টোকোফেরল। [৪]

চুকাই গাছ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা যায় বলে ধারনা করা হয়। এই গাছের কান্ড থেকে ভাল মানের আঁশ পাওয়া যায়; তাই অনেক দেশে পাটের বিকল্প হিসেবে চুকাই গাছ চাষ করা হয়। [৫] এক সময় চুকাই গাছ কবিরাজী ওষুধ হিসেবে মূত্রবর্ধক, মৃদু কোষ্ঠ-নরমকারী, হৃদরোগ, ক্যান্সার এবং স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হতো। [৬]

তবে রক্তচাপ কমানোর ক্ষেত্রে চুকাই গাছের ক্ষমতা সম্পর্কে যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক প্রমান নেই। [৭] রক্তের চর্বির মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও এর ভূমিকা প্রমানিত নয়। [৮] এ ব্যাপারে কিছু গবেষণা হয়েছে, তবে সেগুলোর ফলাফল সম্পর্কে মতভেদ আছে। [৯]
  চুকাই
Chukai.jpg
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
বিভাগ: Angiosperms
শ্রেণী: Eudicots
বর্গ: Malvales
পরিবার: Malvaceae
গণ: Hibiscus
প্রজাতি: H. sabdariffa
দ্বিপদী নাম
Hibiscus sabdariffa
L.






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post