বরিশাল ও বরগুনার জেলা প্রশাসক প্রত্যাহার
সোমবার ওই দুই ডিসিকে প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়।
তাদের প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ইউসুফ হারুন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যাহারের কার্যক্রম গতকাল থেকেই চলছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী প্রস্তাবে সায় দেয়ায় তাদের প্রত্যাহারের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে ওই দুই জেলা প্রশাসকের স্থলে বরিশালে নিয়োগ পেয়েছেন হাবিবুর রহমান ও বরগুনার দায়িত্ব পেয়েছেন মোখলেসুর রহমান।
তারিক সালমনকে হয়রানির ঘটনায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পাশাপাশি এই দুই জেলা প্রশাসককে প্রত্যাহারের দাবি উঠেছিল।
এদিকে ইউএনও তারিক সালমনের ঘটনা খতিয়ে দেখতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত একজন সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্য এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্ত কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন- জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, আইন ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একজন করে প্রতিনিধি।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ কথা জানান।
এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন এবং বিভাগীয় কমিশনারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, গাফিলতি আছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে। বিষয়টি প্রমাণিত এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে ইউএনও তারিক সালমনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হয়। পরে অবশ্য মামলার বাদী বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ ওবায়েদুল্লাহকে গত শুক্রবার দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। পরে তিনি মামলাটিও প্রত্যাহার করে নেন।
স্বাধীনতা দিবসের আমন্ত্রণপত্রে শিশুদের আঁকা ছবি ছাপানোর ঘটনা নিয়ে আদালতের আগে গত এপ্রিলে প্রশাসন ক্যাডারের দুই কর্মকর্তা বরিশালের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার মো. গাউস এবং বর্তমান জেলা প্রশাসক গাজী মো. সাইফুজ্জামান গাজী তারিক সালমনের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। প্রথমে তারিক সালমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন বরিশালের জেলা প্রশাসক। তারিক নোটিশের জবাবও দেন। পরে এই জবাব পাঠানো হয় বিভাগীয় কমিশনারের কাছে। কিন্তু বিভাগীয় কমিশনার নোটিশ সন্তোষজনক নয় মর্মে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠান।