Sponsor



Slider

দেশ - বিদেশ

মেহেরপুর জেলা খবর

মেহেরপুর সদর উপজেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

যাবতীয়

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » মাত্র ১০ দিনের গোলা বারুদ আছে ভারতের-- ক্যাগ রিপোর্টে





  মাত্র ১০ দিনের গোলা বারুদ আছে ভারতের
ক্যাগ রিপোর্ট  সামাল দিতে সক্রিয় কেন্দ্র

 সমৃদ্ধ দত্ত, নয়াদিল্লি, ২২ জুলাই: খোদ ক্যাগ রিপোর্টে আশঙ্কা করা হচ্ছে, পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হলে ভারতীয় সেনার হাতে ব্যবহার করার মতো গোলাবারুদের চরম অভাব দেখা দেবে। যুদ্ধে প্রয়োজন এমন কিছু বিশেষ ধরনের গোলাবারুদ জরুরি পরিস্থিতিতে ১০ দিনও চলবে না বলেও ওই রিপোর্টে উদ্বেগ জানানো হয়েছে। এই ব্যাপারে লোকসভায় ক্যাগ রিপোর্ট জমা পড়ায় দেশের ভিতরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল লোকসভায় পেশ হওয়া এই সংক্রান্ত ক্যাগ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত যে পরিমাণে নানাধরণের গোলাবারুদ দেশের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে তৈরি হত তা ২০১৬ সালের পর থেকে একেবারে কমে গিয়েছে। ফলে উদ্বেগজনকভাবে গোলাবারুদের অভাব দেখা দিয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।

 ক্যাগ রিপোর্টে
ক্যাগ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, ৫৫ শতাংশ এমন কিছু গোলাবারুদ আছে যার স্টক একেবারেই সীমিত। জরুরি পরিস্থিতিতে (অর্থাৎ যুদ্ধকালীন সময়ে) গোলাবারুদের যে স্টক থাকা উচিত তা থাকবে না। আবার ১০ দিনও চলবে না এরকমই বেহাল দশা ৪০ শতাংশ কিছু বিশেষ ধরণের গোলাবারুদের। এই ৪০ শতাংশ গোলাবারুদের স্টকের সিংহভাগই আবার ব্যবহারের সময়সীমাও চলে গিয়েছে। ঠিক চীনের সঙ্গে ভুটানের ডোকা লা’তে যখন ভারত চোখে চোখে রেখে বেজিংয়ের হুঁশিয়ারির পালটা হুমকি দিচ্ছে, তখনই সেনাবাহিনীর স্টকের এই শোচনীয় অবস্থা অবশ্যই উদ্বেগজনক। প্রধানত আর্টিলারি এবং ট্যাংক ডিভিশনের অবস্থা নিয়েই বেশি আলোকপাত করেছে ক্যাগ। বিশেষ করে ইলেকট্রনিক ফিউজের অভাবই প্রকট। যা সবথেকে বেশি প্রয়োজন হয় বিস্ফোরক এবং ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে। এর ফলে মিসাইল, মর্টার, বিস্ফোরক, রকেট লঞ্চারের ব্যবহার কার্যত স্তব্ধ হয়ে যাবে। যে কোনও সময় সবথেকে আদর্শ অস্ত্রমজুত ব্যবস্থা হল সেনাবাহিনীর হাতে অন্তত ৪০ দিন যুদ্ধ করার মতো অতিরিক্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকবে। অর্থাৎ প্রকৃত স্টকের বাইরে আও ৪০ দিনের ব্যবহারের মতো উপকরণ স্টকে থাকতে হবে। একে বলা হয়ে থাকে ‘ওয়ার ওয়েস্টেজ রিজার্ভ’। কিন্তু সেটি নেই। বস্তুত পাকিস্তানের সঙ্গে ৭৭৮ কিলোমিটার নিয়ন্ত্রণরেখা, চীনের সঙ্গে ৪০৫৭ কিলোমিটার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সবথেকে বেশি সেনা মোতায়েন করা থাকে। স্বাভাবিকভা঩বেই অস্ত্র ও গোলাবারুদের স্টকও পাল্লা দিয়ে প্রয়োজন। আর উদ্বেগের কারণ সেটাই।
গতকাল পেশ করা ক্যাগ রিপোর্ট এভাবে সরকারকে অপ্রস্তুত অবস্থায় ফেলার পর আজ থেকেই সরকারপক্ষ ড্যামেজ কন্ট্রোলের প্রয়াস শুরু করেছে। এবং বলা হচ্ছে, আগামী মাস থেকেই একঝাঁক চুক্তির অধীনে গোলাবারুদ আসতে শুরু করবে। ফলে সরকার দেশবাসী ও রাজনৈতিক মহলকে আশ্বস্ত করছে চিন্তার কারণই নেই। যদিও স্বয়ংসম্পূর্ণ স্টক পূর্ণ হওয়ার প্রক্রিয়া অন্তত ২ বছরের আগে শুরু হচ্ছে না। প্রধানত রাশিয়া এবং ইজরায়েল, ফ্রান্সের থেকে যে সাপ্লাইগুলি আসবে সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য‌ হল স্মার্ক রকেট, অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল,টি ৯০ এবং টি ৭২ ট্যাংকের গোলাবারুদ।
তবে বায়ুসেনার জন্য প্রয়োজনীয় সাপ্লাই আসতে আরও দেরি হবে। সেটাই আপাতত সবথেকে উদ্বেগের বিষয়। যা স্বয়ং বায়ুসেনা প্রধানও সম্প্রতি স্বীকার করেছেন। ৩৬টি রাফায়েল ফাইটার জেট ২০২০ সালের আগে আসা শুরুই হবে না। হাউইৎজার আর হেলিকপ্টারের জন্যও অপেক্ষা করতে হবে আপাতত দু’বছর। আমেরিকা থেকে চিনহুক হেভি লিফট হেলিকপ্টার আসবে ২০১৯ সালের পর। সামগ্রিকভাবে ক্যাগ রিপোর্ট যে উদ্বেগজনক তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বিশেষত যখন প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রণ রেখায় পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং ডোকা লা নিয়ে চীনের সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post