তরমুজের বীজ ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
তরমুজের গুণ :
দারুণ গরমে ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা তরমুজে কামড় মানেই শরীর ঠান্ডা, মনও চাঙ্গা। তরমুজে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
স্ট্রেস কমায়। প্রস্টেট ক্যানসার, কোলন ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
ওজন কমায় তরমুজ। তরমুজের ক্যারোটিনয়েড চোখ ভাল রাখে। এটি লিকোপেন সমৃদ্ধ খাবার। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। এ তো গেল তরমুজ। কিন্তু তার বীজে আরও উপকার।
তরমুজের বীজেই লুকিয়ে জীবনীশক্তি:
সারাদিনে যে পরিমাণ প্রোটিন প্রয়োজন, তার ৬০ শতাংশ পাওয়া যায় এককাপ তরমুজের বীজে। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে। ফলে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ। করোনারি হার্ট ডিজিজের চিকিত্সার ক্ষেত্রেও এটা একটা জরুরি উপাদান।
তরমুজের বীজে ভিটামিন বি:
আমেরিকার ক্যানসার সোসাইটির রিপোর্ট বলছে, খাবারকে এনার্জিতে পরিণত করে ভিটামিন বি। নিয়াসিনের মতো ভিটামিন বি স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে রক্ষণাবেক্ষণ করে।
তরমুজের বীজে মিনারেলস:
তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের রিপোর্ট বলছে, ম্যাগনেসিয়াম ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তরমুজের বীজে ফ্যাট:
এককাপ শুকনো তরমুজের দানায় ৫১ গ্রাম ফ্যাট রয়েছে। এর ১১ শতাংশ স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বাকিটা পলিস্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের রিপোর্ট বলছে, মনো ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফ্যাটি অ্যাসিডে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
তরমুজের বীজে আয়রন:
প্রোটিন তো বটেই, তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর আয়রন। চুলের শক্তি বাড়ায়। চুল পড়া কমায়। চুল পাতলা হয় না, শুকনো হয় না। একটি পাত্রে একমুঠো তরমুজের বীজ নিয়ে ৭৫০ মিলিগ্রাম জল দিয়ে অল্প আঁচে ৪৫ মিনিট ফুটিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। ঠান্ডা হলে সেই জল খাওয়া যেতে পারে। প্রতিদিন খেলে ডায়াবেটিস বলবে টা টা বাই বাই। তরমুজের শুকনো বীজ চায়ের সঙ্গে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে।