Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভাল : সজীব ওয়াজেদ জয়





দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভাল : সজীব ওয়াজেদ জয়

  প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভাল।
‘দ্য ডিপ্লোমেট’ পত্রিকায় ২৪ জুলাই প্রকাশিত এক নিবন্ধে জয় লিখেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। তবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জাপানের টোকিওভিত্তিক অনলাইন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ ম্যাগাজিনে দ্য ডিপ্লোমেট এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার রাজনীতি, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয় তুলে ধরা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পুত্র জয় আরো লিখেছেন, দূরবর্তী আবহাওয়া বিষয়ে এবং দুর্গত মানুষ ও প্রকৃতির পাশে দাঁড়ানোর ব্যাপারে প্রতিবেশী দেশগুলোর চেয়ে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ভাল।
তিনি লিখেছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জনগণের জান-মাল রক্ষায় বাংলাদেশের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ঘূর্ণী ঝড় ‘মোরা’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বছরের ৩০ মে এই ঝড়ে বাংলাদেশে ভূমিধস হয়। প্রচ- বাতাস ও ঝড়ে কৃষি জমি ও ভবন বিধ্বস্ত হয়।
তিনি বলেছেন, গণমাধ্যম দ্রুত দুর্যোগের কথা তুলে ধরে। এতে মাত্র নয়জন নিহত হয়। প্রায় ৫ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেয়া হয়। তিনি বলেন, ভৌগলিক কারণে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণ দেশ। এদেশের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের উষ্ণ পানি অভিমুখে। তাই প্রতিবছর এখানে প্রলয়ংকরী ঝড় বয়ে যায়।

জয় আরো বলেন, এছাড়া বাংলাদেশের অধিকাংশ ভূমি এবং এর ১৬ কোটি মানুষের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সমুদ্রপৃষ্টের ৪০ ফুটের সামান্য ওপরে বসবাস করে। ফলে বাংলাদেশ ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের বেশ কয়েকটির শিকার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, ১৯৭০ সালে এক প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে আনুমানিক তিন লাখ লোক নিহত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ তার আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে শুরু করে। আগের চেয়ে অধিক সংখ্যক আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ এবং লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা উন্নত করা হয়, উপকূলে বাঁধ নির্মাণ ও অতিরিক্ত বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ‘বনবেষ্টনী’ সৃষ্টি করা হয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়। ফলে বাংলাদেশ পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়গুলো ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়।
জয় লিখেছেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ প্রস্তুতি পরিকল্পনার অন্যতম স্তম্ভ হলো ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি, যা প্রণীত হয় বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বাংলাদেশের ক্রিসেন্ট সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ তার নাগরিকদের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে অবহিত করে। সরকার ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ সংকেত সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করতে শুরু করে এবং সভা-সমিতি, আলোচনা, পোস্টার, লিফলেট, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ও ব্যক্তি পর্যায়ে তৎপরতাসহ তথ্য প্রচারে নতুন নতুন পন্থা চালু করে। এসব উদ্ভাবনী প্রচেষ্টা লাখো-কোটি মানুষকে শিক্ষিত করে তুলে এবং বিগত বছরগুলোতে বহু মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হয়।
জয় বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে এটি আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা যা বেশ কয়েকটি সর্বাধুনিক আবহাওয়া রাডার স্টেশন দ্বারা চালিত হয়। ঢাকা, খেপুপাড়া ও কক্সবাজারে অবস্থিত এসব স্টেশন আঘাত হানার বহু আগেই সম্ভাব্য প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় সনাক্ত করে প্রতি মিনিটে আবহাওয়া সংক্রান্ত সর্বশেষ বুলেটিন প্রচার করে থাকে।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে বাংলাদেশের কয়েকটি উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘সিডর’ বয়ে যাওয়া পর এই আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থাটি চূড়ান্তভাবে পরীক্ষা করা হয়। প্রচন্ড গতিতে বয়ে যাওয়া এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় দ্রুত সাড়া দেয়ার প্রয়োজন পড়েছিল। তাই বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো ত্বরিত পদক্ষেপ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

 






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post