সহিংসতার পর আল আকসা মসজিদের প্রবেশ পথ থেকে মেটাল ডিটেক্টর সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল
তুমুল বিতর্ক, প্রতিবাদ বিক্ষোভ এবং সহিংসতার পর ইসরায়েলি পুলিশ জেরুসালেমে আল আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে বসানো বিতর্কিত মেটাল ডিটেক্টর সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইসরায়েলি একজন মন্ত্রী প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন, মেটাল ডিটেক্টর বসানো ঠিক হয়নি। কিন্তু এরপরও মুসলিম একটি সংগঠন আল আকসা বয়কট অব্যাহত রাখার জন্য মুসলিমদের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ যখন মেটাল ডিটেক্টর বসায়, এবং ৫০ বছরের কম বয়সীদের সেখানে ঢোকা নিষিদ্ধ করে তখন - তার প্রতিক্রিয়া হয় তীব্র।
এই ডিটেক্টর বসানো হয়েছিল এই স্পর্শকাতর জায়গাটির কাছেই এক আক্রমণে দু'জন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হবার পর।
ফিলিস্তিনিরা এই মেটাল ডিটেক্টর বসানোকে দেখেন আল আকসা মসজিদ এলাকাটির ওপর অধিকতর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের চেষ্টা হিসেবে।
এর প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা আল-আকসায় না ঢুকে তার বাইরে রাস্তার ওপরই নামাজ পড়েন, এবং তাদের বিক্ষোভ একসময় ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সহিংস সংঘর্ষে পরিণত হয়। নিহত হয় তিন ফিলিস্তিনি। পরে ওই একই দিনে একটি বাড়িতে আক্রমণ ঘটে যাতে তিনজন ইসরায়েলিও নিহত হয়।
এর ফলে আন্তর্জাতিকভাবেও একটা উদ্বেগ দেখা দেয়। আশংকা তৈরি হয় যে নতুন এই সহিংসতার চক্র একটা গুরুতর বিপর্যয়ের চেহারা নিতে পারে।
এখন মেটাল ডিটেক্টর সরানো হয়েছে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে সংকট এখনো নিষ্পত্তি হয় নি।
এইচআইভি প্রতিরোধে নতুন এক রিং: নারীদের মধ্যেও পেয়েছে জনপ্রিয়তা
আমাকে ৬ মাস ধরে প্রত্যেক দিন ধর্ষণ করা হতো
ইসরায়েলি মন্ত্রীসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে সেখানে এখন অন্য কোন নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করা হবে।
মুসলিম কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা আল-আকসা এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ না করা পর্যন্ত কেউ যেন সেখানে নামাজ পড়তে না যান।