বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের প্রতি স্পিকারের আহবান
স্পিকার ও সিপিএ চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে যৌথবিনিয়োগ করার জন্য ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
ভিয়েতনাম সফররত স্পিকার আজ ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারী গুয়েন ফু ট্রং এর সাথে কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্পিকার এ আহবান জানান। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
স্পিকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ভিয়েতনামের জনগণের অকুন্ঠ সমর্থনের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে বলেন, উভয় দেশ এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে, যার ফলে দু’দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে ভিয়েতনামের স্বীকৃতি প্রদান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হো চী মিনের বন্ধুত্বের কথা স্মরণ করে বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সুদৃঢ় হবে।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে একশ’টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে, যাতে বিনিয়োগের সকল সুযোগ-সুবিধা থাকবে। তিনি এসকল অর্থনৈতিক অঞ্চলে যৌথ বিনিয়োগের জন্য ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহবান জানান। তিনি ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
কমিউনিস্ট পার্টির জেনারেল সেক্রেটারী বলেন, রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সফর বিনিময়ের মাধ্যমে দু’দেশের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা সম্ভব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের সফরের মাধ্যমে দু’দেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম কৃষি প্রধান দেশ। দু’দেশের কৃষি ও কৃষিজাত দ্রব্যাদির আমদানী ও রপ্তানী বাজার আরও সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে।
এ সময় সংসদ সদস্য ইমরান আহমেদ, পংকজ নাথ, এ.এম নাঈমুর রহমান ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোঃ আবদুর রব হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন