ঢাকা (ডিবি) সঙ্গে
বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী নিহত
রাজধানীর মিরপুরে বেড়িবাঁধ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ব্যক্তি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদার হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওই দুই ব্যক্তি আজ বুধবার ভোরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
ডিবির (পশ্চিম) অতিরিক্ত কমিশনার গোলাম মোস্তফা বলেন, বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুজনই পেশাদার ছিনতাইকারী ছিলেন। এএসপি মিজানুর রহমান হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার এক আসামির কাছ থেকে পাওয়া তথ্য ও নিহত দুজনের ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে, এই দুজনও এএসপি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন।
পুলিশের হাইওয়ে রেঞ্জের সাভার সার্কেলের দায়িত্বে ছিলেন এএসপি মিজানুর। গত ২১ জুন দুপুরে মিরপুর বেড়িবাঁধসংলগ্ন বিরুলিয়া সেতুর কাছে রাস্তার পাশের ঝোপ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তাঁর গলায় ঝুট কাপড় প্যাঁচানো এবং গালে ও কপালে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন ছিল। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক বলেছেন, ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।
বেড়িবাঁধ এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুজনের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাঁদের একজনের আনুমানিক বয়স ৪৫ বছর, অন্যজনের বয়স ৫০ বছর। এই দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া।
রাজধানীর রূপনগর থানার এসআই মোমিনুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ এলাকায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কার্যালয়ের পাশে বন্দুকযুদ্ধ হয়েছে। ছিনতাইকারীর দল জড়ো হচ্ছে—গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থেকে। বিষয়টি টের পেয়ে ঘটনাস্থলের অদূরে থাকা রূপনগর থানার ঢহল পুলিশের একটি দল ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। বেশ কিছুক্ষণ বন্দুকযুদ্ধ চলার একপর্যায়ে কয়েকজন ছিনতাইকারী পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হয়েছেন।