হেলেঞ্চা ঔষধি গুণ রয়েছে
হেলেঞ্চা, হিঞ্চা, হিঞ্চে, হিংচা, হেলচী, হিমলোচিকা (সংস্কৃত ভাষায়), তিতির ডগা, তিতির শাক, তিতির ডাটা, তিতা ডাটা এক প্রকার সপুষ্পক উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Enhydra fluctuans যা Asteraceae পরিবারভুক্ত।[১]এর ইংরেজি নাম Enhydra, Buffalo spinach, Helancha ইত্যাদি। এটি কাদা পানিতে জন্মে। এর বেশ কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে। এটি দেখতে কিছুটা মালঞ্চ শাকের মত হলেও এর পাতার কিনারা খাঁজকাটা এবং স্বাদ খানিকটা তিতা। এটি শাক ভাজি এবং ঝোল রান্না করে খাওয়া হয়। ডাল মিশিয়ে বড়া বানিয়েও এটি খাওয়া হয়।
হেলেঞ্চা
পরিচ্ছেদসমূহ
১ আবাস
২ উপাদান
৩ ঔষধি গুণ
৪ তথ্যসূত্র
আবাস
ক্রান্তীয় অঞ্চলের জলাশয়, ডোবা, নর্দমা, পুকুরের ধারে, অগভীর পানিতে বা ভেজা মাটিতে জন্মে। পুকুরে জন্মালে পুকুর ভরে যায় হেলেঞ্চায়। এর আদি নিবাস বাংলাদেশ, ভারত, ব্রাজিল, মায়ানমার, শ্রীলংকা ইত্যাদি। একই ধরনের জলবায়ু আছে এমন অনেক দেশেই এটি দেখা যায়।[২]হেলেঞ্চা গাছ ৩০-৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এদের কান্ডে বহু শাখা থাকে। কান্ডের প্রতিটি গাঁট থেকে শিকড় বের হয়। এর পাতা ২.৫-৭.৫ সেন্টিমিটার লম্বা হয়। পত্রফলক বল্লমাকৃতির। পাতার কিনারা সূক্ষ্ম খাঁজকাটা। গাছের শীর্ষে শীতকালে ছোট সাদা গুচ্ছফুল ফোটে।[৩]
উপাদান
হেলেঞ্চাতে শতকরা ২.৯ ভাগ প্রোটিন, ০.২ ভাগ ফ্যাট, ৫.৫ ভাগ শর্করা, এবং ২.২ ভাগ লবণ আছে।[১]এছাড়া এতে প্রচুর ভিটামিন এ আছে।
ঔষধি গুণ
হেলেঞ্চা ভেষজ চিকিৎসায় কোষ্ঠ কাঠিন্য, হাঁপানি, স্নায়ুরোগ ইত্যাদিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।[১]আধুনিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাতেও এর অনেক গুণ পাওয়া গেছে; যেমন- এন্টি অক্সিডেন্ট, জীবানু নাশক, ব্যথা নাশক, ডায়ারিয়া হ্রাস, স্নায়ু উত্তেজনা প্রশমন ইত্যাদি।
হেলেঞ্চা
Hingcha-1.jpg
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Plantae
পর্ব: Magnoliophyta
(শ্রেণীবিহীন): Magnoliopsida
বর্গ: Asterales
পরিবার: Asteraceae
গণ: Enhydra
প্রজাতি: E. fluctuans
দ্বিপদী নাম
Enhydra fluctuans
Lour.