Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» » » » হারের মূল কারণ?‌ পাকিস্তানের আগুনটা ভারত দেখতে পায়নি--রবি শাস্ত্রী





 হারের মূল কারণ?‌ পাকিস্তানের আগুনটা ভারত দেখতে পায়নি
 

রবি শাস্ত্রী:‌ এটা প্রথমেই বলে নিই, এই দল অনেক জিতবে ভবিষ্যতে, এতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে, গোটা দল যেভাবে ভেঙে পড়ল, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। পাকিস্তান দঁাড় করিয়ে আমাদের হারিয়ে দিল।
 এর পরও বলছেন, ভবিষ্যতে টিম ইন্ডিয়া অনেক জিতবে?‌
শাস্ত্রী:‌ অবশ্যই জিতবে। আলবাত জিতবে। একটু ফাইন টিউনিং করে নিতে হবে। দ্যাটস ইট।
 সেটা কীরকম?‌
শাস্ত্রী:‌ এই যেমন আমরা ভাল চেজ করতে পারি। এটা গোটা দুনিয়া জানে। এবার দেখতে হবে তো কোন ম্যাচে, কোন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে, কেমন উইকেটে রান তাড়া করা যায়। এই ভাবনাটা রবিবার ভারতীয় দলে ছিল না। চমৎকার ব্যাটিং উইকেট, উজ্জ্বল সূর্যালোক, আকাশে একফেঁাটা মেঘ নেই— এই অবস্থায় ব্যাটিং লাইনআপ শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করানোর সিদ্ধান্তটা ভুল। পাকিস্তান যে তলায় তলায় এতটা তেতে ছিল, এটা ম্যাচ প্ল্যানিংয়ের সময় হিসেবে রাখা হয়নি। না হলে ফাখার জামান এতটা ফ্রি খেলতে পারে?‌ যখন ফ্রি খেলছিল, তখনও কিন্তু ওকে আরও সোজা বল করে আটকে রাখার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। গ্রুপ লিগে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারানোর পর, আমরা সবাই ধরে নিয়েছিলাম, সরফরাজের নতুন টিম আবারও হারবে। কিন্তু হয়েছে উল্টো। খেলার শুরু থেকেই পাকিস্তান এগিয়ে ছিল। এবং শেষ হওয়া পর্যন্ত ভারত কিন্তু ছিল খানিকটা কুঁকড়ে। গা–‌ঝাড়া দিয়ে উঠে একটা পাল্টা আক্রমণ করার চেষ্টা করা উচিত ছিল।
 যেমন পান্ডিয়ার ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
শাস্ত্রী:‌ ইয়েস, দ্যাটস কারেক্ট। একজন বোলারও ওই মার খাওয়ার সময় মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেনি। কেউ তো একজন বলবে, দেখি ফাখারকে আটকাই। তা না করে নো, ওয়াইড বল এবং আলগা বল দিয়ে ফাখারকে আরও স্বাধীন ভাবে শট খেলতে দিল। টেরিফিক ইনিংস। এক–‌একদিন এরকম ইনিংস হয়ে যায়। কিন্তু ফাইনাল খেলতে নেমে যে দলের ট্রফি জেতার স্বপ্ন থাকে, তাদের আরও বেশি আন্তরিক হয়ে লড়াই করতে হয়। দীর্ঘ ক্রিকেট জীবনে এটা দেখেছি, ট্রফি জিততে চাইলে আপনাকে ট্রফি তাড়া করতে হবে। পাকিস্তান কিন্তু ট্রফি তাড়া করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ওদের খেলায় ছিল জেতার জন্য মরিয়া ভাব, খিদে ছিল অনেক বেশি।
 মাঝে একদিন আপনি বলেছিলেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে ফাইনাল খেলবে ভারত।
শাস্ত্রী:‌ হ্যঁা, মনে আছে। বলেছিলাম। সত্যি সত্যি ইংল্যান্ড দলের ব্যালান্স অনেক বেশি। দলে অনেকগুলো ম্যাচ উইনার। বেন স্টোকস এদের মধ্যে অন্যতম। সেই দলটা হেরে গেল পাকিস্তানের কাছে, এটা একেবারেই অপ্রত্যাশিত। সবচেয়ে বড় চমক। যদি বলেন ফাইনালে ভারতের হার, নাকি সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের হার, কোনটায় বেশি বিস্মিত হয়েছি?‌ আমি বলব, ইংল্যান্ডের হারে।
 দক্ষিণ আফ্রিকারও জেতার কথা ছিল?‌
শাস্ত্রী:‌ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা অনেকবারই জেতার স্বপ্ন নিয়ে শুরু করে। ডি’‌ভিলিয়ার্সের দলেও বেশ কয়েকজন চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার আছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আটকে যায় ওরা। গেলও। পাকিস্তান কিন্তু সব বড় দলকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হল। ওদের এই আগুনটা ভারত দেখতে পায়নি। তবে এক সপ্তাহ পর যদি আবার এই ইন্ডিয়া–‌পাকিস্তান ম্যাচটা হয়, তাহলে পাকিস্তানই যে জিতবে, এমন গ্যারান্টি নেই। ভারতীয় দলটার ওজন এতটাই যে, ধাক্কা খেলে ওরা বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
 আপনি আগুনের কথা বললেন। মহম্মদ আমিরকে কেমন দেখলেন?‌
শাস্ত্রী:‌ ভারতকে ভাঙল তো আমিরই। ফার্স্ট স্পেলটা চিন্তা করুন। আউট করার পর যে জোশ আমিরের বহিঃপ্রকাশে দেখেছিলাম, তাতেও ছিল আগুনের শিখা। গোটা টুর্নামেন্টে অনেক আচ্ছা বোলার স্যুইং করাতে পারেনি। অথচ আমিরের স্যুইংয়ে ভারতের টপঅর্ডার নাকাল হয়ে আত্মসমর্পণ করে বসল। এটা সম্ভব হয়েছে ওর স্কিলের জন্য। ঘণ্টায় ১৪৫ কিমিতে বল করছিল, সঙ্গে ওইরকম বিষাক্ত স্যুইং, সে তো সাফল্য পাবেই।
 ভারতের প্রথম একাদশ বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও গন্ডগোল?‌
শাস্ত্রী:‌ মহম্মদ সামি আর উমেশ যাদবের মধ্যে একজনকে খেলানো উচিত ছিল। পাকিস্তান ব্যাটসম্যানরা স্যুইং বোলিং খেলতে ওস্তাদ। অলিতে–‌গলিতে ছোটবেলা থেকে স্যুইং বোলিং উড়িয়ে আসছে ওরা। সেখানে একটা গতিময় বোলারের দরকার ছিল।
 কিন্তু কাকে বসাবেন?‌
শাস্ত্রী:‌ জাড্ডুকে নিশ্চয় নয়, কারণ ওর ফিল্ডিং। বোলিং যদি খুব ভাল না হয়, তাহলে ৫/‌৬ ওভার করানোই যায়। ব্যাটিং করবে। তাই আমি থাকলে অশ্বিনকে বসিয়ে আরও একটা জোরে বোলার খেলাতাম। খারাপ দিন যায় মাঝেমধ্যেই, তেমনই গেল। আমরা যখন বোলিং করলাম, তখন মনে হল পাটা উইকেট। অথচ পাকিস্তান যখন বোলিং করছিল, তখন দেখা গেল উইকেটে যথেষ্ট জান আছে। প্রাণঢালা বোলিং বলতে যা বোঝায়, সেটা ওভালে পাকিস্তান বোলাররা করে দেখিয়েছে। আর তফাত গড়ে দিয়েছে আসলে ওই বোলাররাই। আমির থাকবে শীর্ষে। বাকিরা ওর মতোই ছিল যথেষ্ট এফেক্টিভ।‌‌‌‌






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post