শ্রেণীকক্ষের শিক্ষাই যথেষ্ট নয়, পারিপার্শ্বিক জগত সম্পর্কেও জানতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, এজন্য শেখ হাসিনার সরকার নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বমানের উপযোগী করে গড়ে তুলতে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি দেশব্যাপী সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার মতো আরো নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
তিনি আজ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচিত সেরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষার ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আলমগীর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এসএম ওয়াহিদুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে দেশ সেরা মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নটরডেম কলেজের ছাত্র সাফওয়ান রহমান ও বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আইনান তাজরিয়ান বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয় ও ২০৪১’র মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান সরকার শিক্ষাকে জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত করে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
মেধার দিক থেকে আমাদের নতুন প্রজন্ম বিশ্বের অন্য কারো থেকে পিছিয়ে নেই একথা উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এখন আমাদের কাজ হচ্ছে তাদের মেধা ও মননের বিকাশ প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেয়া। এ লক্ষ্যেই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্য পুস্তুক বিতরণ ও উপবৃত্তি প্রদান এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাসহ মেধা অন্বেষণের মতো বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে । শিক্ষার্থীরা তৃণমূল পর্যায় থেকে এসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে তাদের যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখছে।
২০১৩ সাল থেকে বয়সভিত্তিক (৬ষ্ঠ-অষ্টম, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ) ৩টি গ্রুপে ৪টি বিষয়ের উপর এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। প্রতিযোগিতার বিষয়গুলো হলো-ভাষা ও সাহিত্য, দৈনন্দিন বিজ্ঞান ও বিজ্ঞান, গণিত ও কম্পিউটার এবং বাংলাদেশ স্টাডিজ ও মুক্তিযুদ্ধ। এ বছর দেশের ৮টি বিভাগ ও ঢাকা মহানগর থেকে ১২ জন করে মোট ১০৮ জন শিক্ষার্থী জাতীয় পর্যায়ের মেধাবী হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
বয়স ভিত্তিক ৩ গ্রুপের এই ১০৮ মেধাবীর মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের ১২ জনকে সেরা মেধাবী হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে। এই সেরা ১২ মেধাবীর প্রত্যেককে এক লাখ টাকার চেক, গোল্ড মেডেল, সনদপত্র ও বই উপহার দেয়া হয়। তাদেরকে শিক্ষা সফরে বিদেশ ভ্রমণেও নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এছাড়া ঢাকা মহানগর ও বিভাগভিত্তির জাতীয় পর্যায়ের অবশিষ্ট ৯৬ মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে নগদ ৫ হাজার টাকার চেক, মেডেল, সনদপত্র ও বই উপহার দেয়া হয়।