Sponsor



Slider

বিশ্ব

জাতীয়

মেহেরপুর জেলা


গাংনী উপজেলা

মুজিবনগর উপজেলা

ফিচার

খেলা

মেহেরপুর সদর উপজেলা

ছবি

ফেসবুকে মুজিবনগর খবর

» »Unlabelled » ঔষধি গাছ সর্পগন্ধার গুণাবলি ও ব্যবহার সম্পর্কে কেউ কি জানাতে পারবেন?





 ঔষধি গাছ সর্পগন্ধার গুণাবলি ও ব্যবহার সম্পর্কে কেউ কি জানাতে পারবেন?


মহাগুরু
সর্পগন্ধা ঔষধি গুনের জন্য বিখ্যাত। এর অন্য নাম চন্দ্রা। বৈজ্ঞানিক নাম : Rauwolfia serpentina। আমাদের দেশের সব জায়গায় এটি দেখা যায় না। খাসিয়া পাহাড়ের পাদদেশ, তামাবিলের জঙ্গল এবং রাঙামাটি বান্দরবান এলাকায় কিছু কিছু দেখা যায়। এর আরও কিছু নাম আছে-- নাকুলি, সুগন্ধা, রক্তপত্রিকা, ঈশ্বরী, অহিভুক, সর্পদনী। . ব্যবহৃত অংশ : গুল্মজাতীয় এই উদ্ভিদের শিকড় ও পাতা ব্যবহৃত হয়। . ভেষজ গুণাবলী : সর্পগন্ধার ভেষজ গুণের ইতিহাস শত শত বৎসরের প্রাচীন এবং এটির ঔষধিগুণ সম্পর্কে প্রাচীনকাল থেকে লোককাহিনী প্রচলিত আছে। সর্পদর্শন ও কীটপতঙ্গের হুল ফোটানো, ক্ষত ও জ্বালা পোড়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সর্পগন্ধা ব্যবহৃত হতো। প্রাচীনকালে মানুষ সর্পসংকুল বনে জঙ্গলে চলার সময় পায়ের পাতা ও আঙ্গুলে এই উদ্ভিদের মূল ও পাতার নির্যাসের প্রলেপ দিয়ে নিত যাতে ক্ষতিকারক প্রাণী ও কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। . ১। এই গাছে স্টেরল, অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড, অলিক এসিড, ফিউমারিক এসিড, গ্লুকোজ, রেজিন, খনিজ লবণ, স্টার্চ ইত্যাদি পাওয়া গেছে। যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখছে। . ২। এর শিকড় ও পাতার রসে আছে অ্যালকালয়েডস, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। সর্পগন্ধা থেকে সতেরটি এ্যালকালয়েডস এর সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে সর্বাধিক পরিচিত এ্যালকালয়েডস হলো রেসার্পিন, রেসিনামিন, এ্যাজমালিনিন, এ্যাজমালিন, সার্পেনটিন, ইত্যাদি। . ৩। হাইপারটেনশন, ইনসমোনিয়া, জ্বর, বাতজ্বর এবং ব্যথাবেদনায় সর্পগন্ধার মূলচূর্ণ ফলপ্রদ। . ৪। সাপের বিষ এবং পোকা-মাকড়ের দংশনে এর শিকড়ের রস বিশেষ ফলদায়ক। . ৫। মূলের রস মস্তিস্কজনিত রোগে উপকারী। সর্পগন্ধা আদিকাল থেকে উন্মত্ততার মহৌষধ হিসেবে সমাদৃত। ছাগলের দুধের সাথে (২৫০ মিলি) ১ গ্রাম শিকড় চূর্ণ মিশিয়ে খেলে পাগলামি নিরাময় হয়। . ৬। বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ নিরাময়েও এর শিকড়ের রস কার্যকর। . ৭। বার্ধক্যজনিত রোগও এর পাতার নির্যাস দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। . ৮। চোখের ছানি অপসারণের ক্ষেত্রে সর্পগন্ধার পাতার নির্যাস সেবন কার্যকরী। . ৯। দুধের সাথে শিকড় চূর্ণ মিশিয়ে দিনে তিনবার সেবন করলে হিস্টিরিয়া রোগীও সুস্থ হয়ে যাবে। . ১০। এখন এটি পরীক্ষিত সত্য যে, কোন বিষাক্ত পদার্থ কিংবা যে কোন ধরনের বিষক্রিয়া থেকে রক্ষায় সর্পগন্ধা গাছের এ্যালকালয়েডসসমূহ এন্টিডোট হিসেবে কাজ করে।
 .

মহাগুরু
সর্পগন্ধা: (বৈজ্ঞানিক নাম: Rauwolfia serpentina) একটি গুল্মজাতীয় গাছ । আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় এর ব্যবহার আছে।। এই গুল্মটির পাতা ছোট ছোট লম্বা ও পাতার ডগা সরু । ফুল প্রথম অবস্হায় সবুজ রঙের হলেও পাকলে বেগুনী-কালো রঙের হয় । মূলের রং ধূসর ও গন্ধ কাঁচা তেঁতুলের মত সারা বছরই গাছে ফুল ফোটে ও ফল ধরে । ডিসেম্বর – জানুয়ারী মাসে মাটি খুঁড়ে শেকড় তোলা হয়। শেকড়গুলি পানিতে ভালভাবে ধুয়ে রৌদ্রে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করা হয়। রাসায়নিক উপাদান[সম্পাদনা] সর্পগন্ধা মূলে ইনডোল এলকালয়েড রেয়েছে যাতে রিসারপিন, ডিসারপিন, রেসিনামিন থাকে। অন্যান্যের মধ্যে আজমলীন, আজমালিসিন, সাপেন্টাইন , অলিরোসিন ও আনস্যারচুরেটিড এলকোহল ইত্যাদি রয়েছে। রাসায়নিক উপাদান: সর্পগন্ধা মূলে ইনডোল এলকালয়েড রেয়েছে যাতে রিসারপিন, ডিসারপিন, রেসিনামিন থাকে। অন্যান্যের মধ্যে আজমলীন, আজমালিসিন, সাপেন্টাইন , অলিরোসিন ও আনস্যারচুরেটিড এলকোহল ইত্যাদি রয়েছে। উপকারিতা: গাছের মূল নানা প্রকার রোগের চিকিত্সায় লাগে । মূলকে চুর্ণ করে অল্প পরিমাণ খেলে উত্তেজনা প্রশমিত হয় ও ঘুম ভাল হয় । দৈহিক দুবর্লতা ও মানসিক অবসাদজনিত রোগেও মূলের চূর্ণ ব্যবহৃত হয়। ১) (ক) সর্পগন্ধার শিকড় রক্তচাপ কমায়, স্নায়ুতন্ত্র শিথিল করে ও উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে (Said, 1996) । যদিও নাম সর্পগন্ধা কিন্তু পাশ্চাত্য চিকিৎসকগণ এটি এখন ব্যবহার করছেন রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য। ব্লাড প্রেসারের সিস্টোলিক প্রেসার কমাতে সাহায্য করে এটি। কারণ সর্পগন্ধার উপক্ষার (Alkaloids) হৃৎপিন্ডের উপর অবসাদ ক্রিয়া করে এবং রক্তবহ সূক্ষ্ণ শিরাগুলিকে বিষ্ফোরিত করে এবং এভাবে রক্তচাপ কমায়। (খ) আয়ুর্বেদ চিকিৎসার উজ্জ্বল সূর্য মহামহোপাধ্যায় কবিরাজ গণনাথ সেন ও ডাক্তার কার্তিকচন্দ্র বসু সর্পগন্ধার মূল/শেকড় বিশ্লেষণ (১৯৩০) করে বলেছেন, ‘এটি অত্যন্ত উত্তেজনানাশক ও নিদ্রাকারক। উপযুক্ত মাত্রায় সেবন করলে সুনিদ্রা ও উন্মত্ততা হ্রাস পায়।’ তাই উন্মাদ চিকিৎসার ক্ষেত্রে সর্পগন্ধার মূল ব্যবহার হয়। ২) বিষধর সাপে কামড়ালে হৃদযন্ত্রে তীব্র বায়ুর চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে রক্তের তঞ্চন ক্রিয়া অসম্ভব বেড়ে যায় এবং একসময় হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে সর্পগন্ধা বায়ুচাপ দমন করে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে চিকিৎসকরা চিকিৎসা করার সময় পান। 
  
   






«
Next
Newer Post
»
Previous
Older Post