মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধেও তদন্ত চলছে। কিন্তু সাত মাসের তদন্তেও এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কেউ কোনো প্রমাণ বের করতে পারেননি।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আজ শুক্রবার টুইট বার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেছেন, ‘কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার (এফবিআই) পরিচালক জেমস কোমিকে বরখাস্ত করার বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে—আর এই তদন্ত করেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি কোমিকে বরখাস্ত করতে আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন!
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক যে, এ ঘটনায় আমার জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্তের সাত মাসেও কেউ কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।’
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এফবিআইয়ের পরিচালক কোমিকে বরখাস্তের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টেইনও সুপারিশ করেছিলেন। পরে হোয়াইট হাউস কোমিকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন কোমি। বলা হয়, এ কারণেই কোমিকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রড রোজেনস্টেইন এই তদন্তের দায়িত্ব পান। পরে তিনি স্পেশাল কনসাল রবার্ট মুলারকে এই তদন্তের দায়িত্ব দেন।
চলতি সপ্তাহে মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছিল, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে বিচারের সম্ভাব্য বাধাগুলোর বিষয়ে তদন্ত করছেন মুলার।
এর আগে গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে না।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে রুশ হস্তক্ষেপের বিষয়ে চলমান তদন্তকাজে তিনি বাধা দিয়েছেন কি না, তা সাব্যস্ত করতেই এ তদন্ত হচ্ছে। রবার্ট মুলার ওই তদন্তকাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।