সাদা শিম বাতের ব্যাথা ও কফ বিনাশ করে হলদেটে সবচেয়ে উপকারী।
শিম
শীতকালীন সবজি হিসেবে শিমের কদর বেশি। শুধু রসনাবিলাসই নয়, অন্যান্য খাদ্যগুণও এতে রয়েছে। শিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে।
যাঁরা সরাসরি প্রোটিন খান না অর্থাৎ মাছ, মাংস খাওয়া হয় না, তাঁদের জন্য শিমের বিচি শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে পারে। যাঁদের আমিষ খাওয়ায় সীমাবদ্ধতা আছে, তাঁরা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাবেন। আর এই শীতে নিয়মিত শিম খেলে ত্বকও ভালো থাকবে।
উপকারিতা
১. শিম পরিপাকের জন্য খুব ভালো। এ ছাড়া দেহ ঠান্ডা রাখতেও শিম খাওয়া যায়।
২. শিমে ক্যালোরির পরিমাণ বেশ কম থাকে। তাই যাঁরা সরাসরি প্রোটিন খান না, তাঁরা শিম খেতে পারেন।
৩. বড় আকারের শিম রুচিকর। এ ছাড়া বাতের ব্যাথা, ক্ষুধা ও মুখের স্বাদ বাড়িয়ে তোলে এই সবজিটি।
৪. কোনও কিছু কামড়ালে শিমপাতার রস দিনে দু’ বার করে তিন দিন করে লাগালে আরাম পাওয়া যায়।
৫. শিমের বিভিন্ন ধরণের পুষ্টিগুণ ও শিমের মধ্যে থাকা খনিজ চুল পড়া রোধে কাজ করে। এ ছাড়া চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে এই সবজির খাদ্যগুণ।
৬. শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পরিচর্চার অভাবে চামড়ার উপরিভাগ ফেটেও যায়। আর এ জন্য নিয়মিত শিম ত্বকে মাখলে উজ্জ্বল ও নরম থাকে ত্বক। সেই সাথে চর্মরোগও উধাও হয়ে যায়।
৭. শিমের পুষ্টিগুণ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
৮. শিম কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকর। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য আক্রান্ত রোগীদের জন্যও উপকারী এই সবজি।
৯. সাদা শিম বাতের ব্যাথা ও কফ বিনাশ করে। হলদেটে শিম সবচেয়ে উপকারী।
১০. চুন ও শিম পাতার রসের প্রলেপ ২-৩ বার করে ৪-৫ দিন লাগালে কানের লতির বা কর্ণমূলের ফোলা কমে যায়। গলায় ব্যথা হলেও ঘরোয়া এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন।