দুধের অভাব মেটাতে বিমানে করে চার হাজার দুগ্ধবতী গরুর বহন নেয়া হচ্ছে কাতারে!
কাতারে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গরুর বহরকে বিমানযোগে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব দেশগুলোর অবরোধে মুখে দেশটিতে তাজা দুধের অভাব মেটাতে গরুর এ বহর নেয়া হচ্ছে।
এক সপ্তাহ আগেও দোহার ১০ লাখ মানুষের জন্য ডেয়ারি পণ্যের প্রায় পুরোটাই আসত সৌদি আরব থেকে। সৌদি আরব ও তার মিত্র আরব দেশগুলো দোহার সঙ্গে সম্পর্ক করার পর দুগ্ধজাত পণ্যের ঘাটতি দেখা দিয়েছে দেশটিতে।
আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রায় চার হাজার দুগ্ধবতী গরু কিনেছেন কাতারের পাওয়ার ইন্টারন্যাশনাল হোল্ডিংয়ের চেয়ারম্যান ব্যবসায়ী মোর্তুজা আল খাইয়াত। এক একটি গরুর ওজন প্রায় ৫৯০ কিলোগ্রাম। দুধেল গরুর এ বহরকে কাতারে নেয়ার জন্য কাতার এয়ারওয়েজের অন্তত ৬০টি ফ্লাইটের প্রয়োজন পড়বে। আল খাইয়াত বলেছেন, কাতারের জন্য কাজ করার এটাই সেরা সময়।
নির্মাণ সংস্থা হলো আল খাইয়াতের প্রধান ব্যবসা। কাতারের সর্ববৃহৎ বিপণী কেন্দ্রও তিনি তৈরি করেছেন। দোহার ৫০ কিলোমিটার উত্তর তার কোম্পানি কৃষি ব্যবসার সম্প্রসারণ ঘটাচ্ছে। চলতি মাসের শেষ থেকে তাজা দুধ উৎপাদন শুরু করা হবে। মধ্য জুলাইয়ের মধ্যেই কাতারের মোট দুধের চাহিদার এক তৃতীয়াংশ মেটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। হোলেসটেইন গরু রাখার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়েছে। অবশ্য গরু আমদানির খাতে ব্যয় পাঁচ গুণ বেড়ে ৮০ লাখ ডলারে পৌঁছেছ।
চলতি মাসের ৫ তারিখে এ অবরোধ আরোপের পর খাদ্য, নির্মাণ সামগ্রী এবং যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য কাতারকে নতুন বাণিজ্য পথের সন্ধান করতে হয়েছে।
দেশটিতে যেতে শুরু করেছে তুর্কি ডেয়ারি পণ্য। আর শাক-সবজি এবং গম সরবরাহ করছে ইরান। এ ছাড়া, স্বদেশে উৎপাদিত পণ্য কেনার জোর প্রচার চলছে কাতারে। ডেয়ারি পণ্যের পাশে কাতারের পতাকার রং শোভা বর্ধন করছে। আর সবের মাধ্যমে কাতার পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে আর তা হলো, সৌদির চাপে নত হবে না বরং নিজের শক্তিতে টিকে থাকবে এ দেশ।#