চীনে একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রবেশ পথের কাছে বিস্ফোরণে আটজন নিহত ও কমপক্ষে ৬৫ জন আহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় জিয়াংসু প্রদেশের জুঝুউ নগরীর চুয়াংঝিন কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি’র।
পুলিশ এটিকে ‘অপরাধমূলক’ ঘটনা বলে মন্তব্য করে সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে শনাক্ত করেছে।
এদিকে চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, দেশটির জন নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী গুও শেংকুন ‘দ্রুত’ এ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন এবং ঘন বসতিপূর্ণ এলাকায় সম্ভাব্য ঝুঁকি বিষয় গুরুত্ব সহকারে ক্ষতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।
বিষয়টি দেখভালের জন্য তিনি তার সহকারিকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্কুলে প্রবেশ পথের রাস্তার পাশের খাবারের দোকানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের কোনো শিশু বা শিক্ষক নিহত হননি।
খবরে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরণের শিকার ব্যক্তিদের রক্তাক্ত ও কান্নার ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, অনেকের পোশাক ছিঁড়ে গেছে, এক নারী আতঙ্কিত এক শিশুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত একজন জানান, শিশু শিক্ষার্থীদের বের হওয়ার জন্য কিন্ডারগার্টেনের দরজা খোলামাত্র বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। আগুনের গোলা ছুটে আসার কারণে কেউ বের হতে পারেনি।
আহত এক নারী জানান, ঘটনার পর পর তিনি জ্ঞান হারান। হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর তার জ্ঞান ফেরে।
চীনে কিন্ডারগার্টেন স্কুল ঘিরে এমন দুঃখজনক ঘটনা আরও ঘটেছে।
গত ৯ মে চীনের শ্যানদং প্রদেশে স্কুলবাসে আগুন লেগে ১১ জন শিশু, একজন শিক্ষক ও বাসের চালক নিহত হন। পরে জানা যায়, ওভারটাইমের টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত বাসচালক ইচ্ছা করে ওই বাসে আগুন লাগায়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে কিন্ডারগার্টেনে ছোরা হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
এ বছরের জানুয়ারি মাসে রান্নাঘরের কাজে ব্যবহৃত ছোরা নিয়ে এক ব্যক্তি দক্ষিণ চীনের এক কিন্ডারগার্টেন স্কুলে হামলা চালিয়ে ১১ শিশুকে আহত করে।
গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এক ব্যক্তি হাইনান প্রদেশে একটি স্কুলে ছোরা নিয়ে হামলা চালিয়ে ১০ শিশুকে আহত করে। হামলার পর ওই ব্যক্তি আতœহত্যা করে।