বংশগত কারণে উচ্চ রক্তচাপ বা ইজেনশিয়াল হাইপারটেনশন
যাঁদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ থাকে, গর্ভাবস্থায় তা বেড়ে যেতে পারে। তাই গভর্ধারণ করলে প্রসুতির রক্তচাপ সব সময়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সময় প্রসূতিকে মনে রাখতে হবে অনেক ওষুধ আছে যা ভ্রূণের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে। কাজেই উচ্চ রক্তচাপের যেমন তেমন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে প্রস্রাব বাড়ানোর ওষুধ শিশুর ক্ষতি সাধন করতে পারে। মেয়েদের প্রস্রাবের নালির মুখ, প্রজনন অঙ্গ ও পয়নালি খুব কাছাকাছি। তাই জীবাণু সহজেই এ সব স্থান থেকে প্রস্রাবের রাস্তায় সংক্রামিত হতে পারে। আবার যৌনাঙ্গ সঙ্গে থাকার ফলে স্বামীর সঙ্গে সহবাসের সময় মূত্রনালি আহত হতে পারে এবং সংক্রামিত হয়ে প্রস্রাবে প্রদাহ হতে পারে। বিশেষ করে নববিবাহিত মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি হয়ে থাকে। এদের বলা হয় ‘হানিমোন সিস্টাইটিস’। অনেক সময় কারও কারও জরায়ু নীচে নেমে আসে। ফলে দেখা গেছে প্রস্রাব করার পরও থলেতে প্রস্রাব থেকে যায়। বিশেষত যে মা অনেক সন্তান ধারণ করেছেন এবং অপ্রশিক্ষিত দাই দ্বারা তাঁর প্রসব করানো হয়েছে, তাঁর এ সব কারণে প্রস্রাবে প্রদাহ বেশি হয়ে থাকে। তা ছাড়া গর্ভবতী অবস্থায় প্রস্রাবে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেক গুন বেড়ে যায়। অনেক সময় কোনও উপসর্গ ছাড়াই সংক্রমণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবে সংক্রমণ হলে তা কিডনির ক্ষতি সাধন করতে পারে। তাই বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থেকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে এর চিকিৎসা করাতে হবে। প্রস্রাবের সময় জ্বালা, ঘন ঘন অল্প অল্প প্রসাব, প্রস্রাব করার পরও প্রস্রাবের ইচ্ছে থাকা, তলপেটে ও কোমরের দুই পারে পেছনে ব্যথা, কখনও কাপুনি দিয়ে জ্বর আসা, প্রস্রাব দুর্গন্ধযুক্ত, ঘোলা কখনও রক্তমাখা ইত্যাদি প্রস্রাবের প্রদাহের প্রধান লক্ষণ।