জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য বাজেটে প্রস্তাবিত ব্যাংক আমানতের ওপর আরোপিত আবগারি শুল্ক হার পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, আবগারি শুল্কের হার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ শুল্ক আগেও ছিল। তবে এবার হারটা বাড়ানো হয়েছে। এরপর থেকেই আপনারা কথা বলা শুরু করেছেন। বাজেটে এ শুল্ক বহাল থাকবে কিন্তু হারটা কিছুটা কমানো হতে পারে।’
অর্থ প্রতিমন্ত্রী কিছুদিন আগে একটি সেমিনারে আবগারি শুল্ক কমানোর কথা বলেছেন, সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘হি ইজ নট রেসপনসিবল পারসন অ্যাবাউট দিজ ম্যাটার।’
অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল মান্নান জাতীয় সংসদে ও সংসদের বাইরে কয়েক দিন ধরে বলে আসছিলেন, আবগারি শুল্ক কমানোর বিষয়ে সরকারের উচ্চ মহলে চিন্তাভাবনা চলছে।
বৈঠকে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ ক্রয় কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের যে বাজেট উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী তাতে লাখ টাকার ওপরে ব্যাংক হিসাবে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা আছে। এক লাখ টাকার কম ব্যাংক হিসাব থেকে তিনি শুল্ক তুলে দেয়ার প্রস্তাব করলেও এক লাখ ঊর্ধ্ব থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন। একইভাবে এর ঊর্ধ্বসীমার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবেও শুল্ক আগের চেয়ে বাড়ানোর কথা বলেন তিনি।
বাজেট প্রস্তাবে থাকা যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে তার মধ্যে প্রথমেই থাকছে আবগারি শুল্কের বিষয়টি।
সাধারণ নাগরিকদের পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ব্যাংকার ও অর্থনীতিবিদরা আবগারি শুল্ক বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তকে যৌক্তিক মনে করেছেন না। তারা বলছেন, শুল্ক বাড়লে লেনদেনের অবৈধ মাধ্যম উৎসাহিত হবে।
ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলীয় কয়েকজন সাংসদও জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। তবে এই সমালোচনা ও দাবির মুখেও অর্থমন্ত্রী গত ৮ জুন সিলেটে সাংবাদিকদেরকে বলেছেন, তিনি এই প্রস্তাব সংশোধনের পক্ষে নন।